Anurager Chhoya: রায়দিঘি থেকে কলকাতায় আসা, কিভাবে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিক পেলেন স্বস্তিকা!
“তুই পারবি, অনেক বড় হবি” মা-বাবা সবসময়ই সাহস জুগিয়ে চলতেন তাঁকে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দিঘির সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম অভিনেত্রীর। মা-বাবা দুজনেই গানের সঙ্গে যুক্ত। মা রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা করেন। অভিনেত্রীও ভরতনাট্যম ফোর্থ ইয়ার অবধি শিখে ফেলেছেন। ‘সরস্বতীর প্রেম’ ধারাবাহিক দিয়ে তাঁর অভিনয় যাত্রা শুরু। এখন রয়েছেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় দীপান্বিতা হয়ে। বাস্তবে তিনি স্বস্তিকা ঘোষ। অভিনয় জগতে তাঁর প্রায় বছর দুয়েক হয়ে গিয়েছে। টালিগঞ্জে বাবার সঙ্গে থাকেন অভিনেত্রী।
তার কথায় “অনুরাগের ছোঁয়া’য় লিড রোল পাওয়াটা বেশ আকস্মিক ছিল আমার জন্য। আমার আগে প্রায় পনেরো-ষোলো জন অডিশন দিয়েছিলেন। ভাগ্যবশত আমি পেয়ে গিয়েছি।” এমনকি তিনি কখনও কোনো শট ঠিকঠাক না দিতে পারলে সহ-অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্তর সাথে সাথে পরিচালক থেকে শুরু করে সেটের সবাই প্রায় তাঁকে বেশ সাহায্য করেন। শট নিয়ে আলোচনা হয় দিব্যজ্যোতির সাথে। বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে রিল লাইফের লাভ বার্ডসদের মধ্যে। ফ্রি টাইমে অন্তক্ষরিও খেলা হয় তাঁদের মধ্যে।
চরিত্রকে দর্শকদের হৃদয়ে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কিন্তু জুড়ি মেলা ভার অভিনেত্রীর। একটু টোন ডাউন করা হয়েছে তাঁর মেক আপে। বিষয়টা বেশ মনে ধরেছে মহারাণীর। বিশ্রাম একদমই পান না। পেলে একটু রূপচর্চা আর একটু ঘুম দিয়েই চালিয়ে নেন। মাঝে একটু নাচ প্র্যাকটিস করে ফেলেন। পড়াশোনার দিকে ন্যাকটা বরাবরই কম। গল্পের বই পড়েন। লকডাউনে ঘরকন্যার কাজও শিখে ফেলেছেন। রান্নাবান্না থেকে বাসন মাজা সবটাই বেশ গুছিয়ে করেন। এদিকে কাজের চাপে বাবা, মা, দিদি, ভাই ও ঠাকুমাকে ঘিরে মিষ্টি বাড়িটাতেও আসতে পারেন না। ছুটিছাটায় বাড়িতে গেলে অবশ্য ভাই আর দিদির সঙ্গেই সময় কেটে যায়।
স্বস্তিকার ভাষায়, ‘‘মা-বাবা, দিদি, বন্ধুরা সকলেই খুব উৎসাহ জুগিয়েছে। ছোট থেকেই অভিনেত্রী হতে চাইতাম। বাবা খুব পাশে থেকেছেন, কষ্ট করেছেন আমার জন্য। রায়দিঘি থেকে কলকাতায় আসতে সময় লাগে প্রায় ৬ ঘন্টা। বাবার সঙ্গে অডিশন দিতে আসতাম কলকাতায়। এমনও অনেক দিন হয়েছে যে, বাড়ি ফিরতে না পেরে বহুবার তো স্টেশনেই রাত কাটিয়ে ফেলেছি। এখন একটু সফলতার মুখ দেখছি। ভোর ছটায় উঠে সেটে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হই। সাতটা নাগাদ থাকে কলটাইম। কোনো অসুবিধাই হয়না। রায়দিঘি থেকে কলকাতায় এসে বাঁচার লড়াইয়ে টিকে থাকতে শিখেছি আমি।’’