মায়ের মৃত্যু যেন হঠাৎই বদলে দিয়েছে অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)-কে। গত বছর করোনা আক্রান্ত হয়ে অরিজিৎ-এর মায়ের শরীরে ক্রমশ কমে যায় অক্সিজেন লেভেল। চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে প্রয়াত হন অরিজিৎ-এর মা। এরপরেই অরিজিৎ তাঁর জন্মস্থান মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ এলাকার মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। করোনাকালে অরিজিৎ ব্যবস্থা করেছিলেন পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার। করোনা রোগী ও তাঁদের পরিবারকে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন তিনি। এবার জিয়াগঞ্জের মাটিতে বিনামূল্যে ইংরাজি শেখার ব্যবস্থা করতে চলেছেন তিনি।
View this post on Instagram
অরিজিৎ জানেন, জিয়াগঞ্জের বাইরে বেরোলে ইংরাজি জানাটা বর্তমানে অত্যন্ত জরুরী। জিয়াগঞ্জের মতো এলাকার ছেলেমেয়েদের জন্য ইংলিশের ক্লাস শুরু করতে মঙ্গলবার অরিজিৎ গিয়েছিলেন তাঁর শৈশবের বন্ধু শঙ্কর মন্ডল (Shankar Mandal)-এর নার্সিং কলেজে। অরিজিৎ-এর সাথে এই প্রোজেক্টে রয়েছেন শঙ্করও। কোচিং সেন্টার খোলার জন্য অরিজিৎ-এর প্রয়োজন ছিল বড় বড় আটটি ঘর। এই কারণে শঙ্করের সাথে দেখা করেন তিনি। জিয়াগঞ্জ থানার কাছে ওই নার্সিং কলেজে এই ধরনের ঘর রয়েছে। ফলে সেখানেই কোচিং সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অরিজিৎ।
View this post on Instagram
শঙ্কর জানিয়েছেন, ভিডিও মনিটরের সুবিধাযুক্ত বড় মাপের ঘরকেই কোচিং সেন্টারের জন্য উপযুক্ত মনে করছেন অরিজিৎ। মঙ্গলবার অরিজিৎ-এর আসার কথা কেউই জানতেন না। অরিজিৎ নার্সিং কলেজে এসেছেন জানতে পেরে তাঁকে দেখতে ভিড় জমে যায়।
অরিজিৎ-এর এই উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসীরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, তিন মাস আগে, নিজের স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন অরিজিৎ। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য (Dipankar Bhattacharya) জানালেন, অরিজিৎ স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে স্কুলটি।
View this post on Instagram