মাথা আকাশের দিকে থাকলেও পা যার মাটির নীচে থাকে তারাই তো প্রকৃত অর্থেই সফল। আর এক্ষেত্রে অরিজিৎ সিং একশোয় একশো। মুম্বইয়ে গেলে বিলাসবহুল আবাসনে থাকলেও কখনো তিনি ভুলতে পারেননি তার জিয়াগঞ্জকে। মুম্বইয়ের দামী দামী বিলাসবহুল গাড়িতে কাজের সূত্রে চড়তে হলেও এখনও তিনি সুযোগ পেলে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের রাস্তায় স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অবলীলায়।
দিন কয়েক আগে নিজের ছেলেকে জিয়াগঞ্জের স্কুলে ছাড়তে যান অরিজিৎ। এত বড় তারকা পুত্র হয়েও এবং শিকড়ের সঙ্গে কিভাবে সহাবস্থান তাদের। এতেই মুগ্ধ অরিজিতের অনুরাগীরা। গানের পাশাপাশি সম্প্রতি নতুন দায়িত্ব নিতে চলেছেন অরিজিৎ সিং। তার এই নতুন উদ্যোগে উৎসাহী সকলে। ভক্তরা তাকে শুভেচ্ছাবার্তার ঢল জানিয়েছেন।
সম্প্রতি তাকে একটি ছবিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে একই সারিতে দেখা যাচ্ছে। এখানেই জল্পনা উঠেছে যে কোনদিনও কোন রাজনৈতিক শিবিরে উপস্থিত না থাকা ভারতের প্রথম সারির গায়ক এবার রাজ্যের শাসক দলের সরাসরি সদস্য হতে চলেছেন?
না এমন কিছুই নয়, বিষয়টি হলো যে তিনি যে স্কুলে নিজের ছোটবেলা কাটিয়েছেন। যে বিদ্যালয়ে আজকের সুগায়ক অরিজিৎ সিংয়ের চরিত্র গঠন করেছে। সেই জিয়াগঞ্জের একটি স্কুল রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরৃর পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। আর নতুন দায়িত্ব পেয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে তা বুঝে নিতে উপস্থিত হন অরিজিৎ সিং।
নিজের স্কুলে প্রাক্তন ছাত্রকে এই গুরুদায়িত্ব দিয়ে আনন্দিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং সহ শিক্ষকেরা। তার মত সৎ চরিত্রের মানুষের কাছে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে পেরে তারা নিশ্চিন্ত।
অরিজিৎ সিংকে যতই দেখতে হয় অবাক বনে যেতে হয়। এত কিছু পেয়েও জীবনে কোনদিনও অহংবোধ আনেননি তিনি। তাই তিনি আজ সাধারণ হয়েও এতটা অসাধারণ।