Hoop PlusTollywood

দেব-মিঠুনকে উচিত শিক্ষা দিলেন তাদের সিনেমারই একসময়ের জনপ্রিয় শিশুশিল্পী

এক সপ্তাহ পেরিয়েও অব্যাহত ‘প্রজাপতি’ বিতর্ক। দেব প্রযোজিত ও অভিনীত ফিল্ম ‘প্রজাপতি’ প্রায় সমস্ত মাল্টিপ্লেক্সে শো পেয়েছে ও হাউসফুল হয়েছে। কিন্তু খুব অদ্ভুত ভাবে নন্দনে এই ফিল্ম শো পায়নি। দেব ছাড়াও ‘প্রজাপতি’-তে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। অনেকে মনে করছেন, মিঠুন বিজেপির দলীয় সদস্য হওয়ার কারণেই নন্দনে শো পেল না ‘প্রজাপতি’। তবে দেব একটি টুইটে লিখেছেন, তিনি নন্দনকে মিস করবেন। এখানেই গল্প শেষ লিখে বিতর্ক তৈরি করতে নারাজ ছিলেন তিনি। কিন্তু বিনোদন জগতের একাংশ মানতে পারছেন না দেবের প্রতি শাসক দলের অবহেলা। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অরিত্র দত্ত বণিক (Aritra Dutta Banik)।

অরিত্রর মূল হাতিয়ার ফেসবুক। তিনি সাধারণতঃ তাঁর মতামত ও বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ফেসবুকে শেয়ার করেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। বুধবার ফেসবুকে অরিত্র লিখেছেন, সিনেমা বা অভিনেতাদের নিয়ে ফালতু কথা বলার সাহস কারও থাকত না যদি না বাংলা সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ‘অল্টারনেট জব সিকিউরিটি’ খুঁজতে বোকার মতো রাজনীতির মতো একটি পেশায় এসে নিজেদের ফ্যানদের কাছে শ্রদ্ধার স্থান নষ্ট করতেন।

অরিত্রর মতে, শিল্পীরা নিজেরাই নিজেদের দোষে এই অপমানের সুযোগ করে দেন। ফলে রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের ভোটের আবেগ বিক্রি করতে গিয়ে সিনেমার ইমোশনকে বিক্রি করছে। অরিত্রর পরামর্শ, সময় এখনও রয়েছে। ফলে যদি নিজের ক্রাফটের উপর ও অডিয়েন্সের উপর কনফিডেন্স থাকে, তাহলে অবিলম্বে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের মেরুদন্ড বুঝিয়ে দিয়ে রাজনীতির চাকরি ছেড়ে আবারও শিল্পীদের সিনেমার স্ক্রিনে ফেরা উচিত।

অরিত্র মনে করেন, প্রত্যেক পেশার নিজস্ব মডেল রয়েছে। রাজনীতির মার্কেটের সাথে সিনেমা বা মিডিয়ার মার্কেট কোনোদিন মিলবে না বা যতবার জোর করে মেলানোর চেষ্টা হবে ততবার এই ধরনের দূর্দিন নেমে আসবে। সকলের উচিত নিজস্ব স্পেশ্যালাইজড পেশায় ফিরে যাওয়া।