তখনও দেশ স্বাধীন হয়নি। ১৯৪৬ সালে বোম্বে শহরে জন্মেছিলেন অরুণা ইরানি। সাত ভাই বোনের সংসারে অরুণা ইরানির চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে গঙ্গা যমুনা (১৯৬১) চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে। এরপর তিনি আনপড় (১৯৬২) চলচ্চিত্রে মালা সিনহার কৈশোর বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি মেহমুদের বম্বে টু গোয়া (১৯৭২), গরম মসালা (১৯৭২), ও দো ফুল (১৯৭৩), দো জুট (১৯৭৫), খুন পাসিনা (১৯৭৭) ও রকি (১৯৮১)চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
অরুণা দুর্দান্ত নাচ করতে পারতেন। একাধিক হিট গানের দৃশ্যে অরুণাকে দেখা যায়, যেই গানগুলির বর্তমান সময়ে রিমিক্স হয়েছে। যেমন, ‘থোড়া রেশম লাগতা হে’ গানে অরুণাকে দেখা যায়। সব কিছুই ঠিকঠাক চললেও তাকে ১৯৮০-এর দশকের শেষভাগ থেকে শুরু করে ১৯৯০-এর দশকে তিনি মাতৃস্থানীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। অবশ্য, পরবর্তী সময়ে তাকে টেলিভিশনে কাজ করতে দেখা যায়।
অরুণা সম্ভবত জেষ্ঠ্য সন্তান ছিলেন তার পরিবারে। তার তার ভাইদের মধ্যে ইন্দ্র কুমার একজন প্রযোজক ও পরিচালক, ফিরোজ ইরানি গুজরাতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ও আদি ইরানি হিন্দি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেন।
অরুণার বাবার অর্থনৈতিক অবস্থা স্বচ্ছল ছিল না। তাই শুধুমাত্র টাকার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অডিশন দিতেন সেইসময় তিনি। তিনি তার অভিনয় জীবনে বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিলেও নায়িকা হয়ে উঠতে পারেননি। অবশ্য এতে তার একটুও আফসোস ছিল না। অরুণা ইরানির উদ্দেশ্যই ছিল অর্থ উপার্জনের। তাই মায়ের স্থানে অভিনয় করতেও দ্বিধা করেননি। বরাবর ভাগ্যে বিশ্বাস করেন অরুণা। হয়তো ভাগ্যের জন্যেই নায়িকা হয়ে ওঠা হয়নি।