এবার নাচ করছেন আশা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য তিনি শাড়ি পরে তুমুল নাচ করলেন। আকাশী রঙের শাড়িতে এদিন ঝলমল করছিলেন আশা ভোঁসলে। এক পল কা জিনা গানে ভরা স্টেজে নাচ করে দর্শকদের এবং শ্রোতাদের মন জয় করলেন তিনি।
এক্কেবারে হৃতিকের কায়দায় নাচলেন তিনি। ভুলেও ভাববেন না যে আশা জী এখন এইরকম ভাবে নাচছেন। করোনা অবহোয়ে প্রায় সমস্ত মিউজিক কনসার্ট বন্ধ। এই ভিডিওটি ৭ বছর আগের। একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। নেপথ্য সংগীতের মধ্যে আচমকা নেচে ওঠেন। তার সেই পুরনো ভিডিও ফের ভাইরাল হয় নেট মাধ্যমে। এখনও পর্যন্ত ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ এই ভিডিও দেখেছে এবং আশা জী নিজেও বহু প্রশংসা পেয়েছেন। আশার গানে মুগ্ধ সকলে, এবার তার নাচের প্রশংসায় ছয়লাপ দর্শকদের। এই বয়সে এসেও যে এমন ভাবে নাচতে পারবেন তাই বা কম কি!
পঞ্চাশের দশক থেকে একটানা এখনও অবধি অবলীলায় গান গেয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছেন। একটা সময় বয়সে অনেকটাই ছোট রাহুল দেব বর্মনকে বিয়ে করেন আশা। সেইসময় আশা ভোঁসলের অনুরাগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। খ্যাতি তখন তাঁর শীর্ষে। এমনকি, রাহুল দেব বর্মনের মৃত্যুর পরেও আশা নিজের গান চালিয়ে গিয়েছিলেন। তখন মেয়ে বর্ষাকে নিয়ে গান গাইতেন তিনি। কিন্তু তাঁর মেয়ে একটা সময় পর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে যান ও নিজের রিভলভার দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপরেই আশা ভোঁসলে গানের জগৎ থেকে সরে আসেন। বহুদিন গানের সঙ্গে দূরত্ব রেখেছিলেন। কিন্তু ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর আবার উৎসাহ দেন। তার প্রেরণায় ফের গান গাওয়া শুরু করেন তিনি।
সম্প্রতি, মহারাষ্ট্র সরকার আশাকে মহারাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘মহারাষ্ট্র ভূষণ’-এ ভূষিত করার ঘোষণা করেছেন। জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাত নিয়ে এগিয়ে চলেছেন আশা ভোঁসলে।