Nabanita Das: ডিভোর্সের কারণ শ্রাবন্তী নয়: নবনীতা দাস
গত কয়েকদিন ধরে জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও নবনীতা দাস (Nabanita Das) -এর বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে রীতিমত চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ও স্টুডিওপাড়ায়। গত তিন মাস ধরে আলাদা থাকছিলেন তাঁরা। প্রায়ই নবনীতাকে জিতু প্রসঙ্গে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হত। ফলে তিনি সত্য ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই কারণে একটি মন খারাপ করা পোস্টের মাধ্যমে নবনীতা জানিয়েছিলেন, তাঁদের প্রেম, বন্ধুত্ব ও পরিণয়ের বর্ণময় অধ্যায়ের ইতি হয়েছে। তবে অনুরাগীদের একাংশ জানতে চেয়েছেন কেন আচমকাই বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন টলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত এই জুটি। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নবনীতা।
4 ঠা জুলাই, মঙ্গলবার বেলার দিকে ফেসবুক থেকে লাইভে আসেন নবনীতা। তিনি জানালেন, নবনীতার ফেসবুক পোস্টের পর অযথাই তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল অনুমান করা হচ্ছে। নবনীতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তাঁর ও জিতুর মিলিত। এই সিদ্ধান্তে তৃতীয় ব্যক্তির হাত নেই। এমনকি জিতুর সাথে তাঁর সহ-অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)-র সম্পর্ক নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে যা খারাপ লেগেছে নবনীতার। কারণ তাঁর সাথে শ্রাবন্তীর যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ‘বাবুসোনা’-র শুটিংয়ের সময় লন্ডনে থাকাকালীন একসাথে খাওয়া-দাওয়া করেছেন, আড্ডা দিয়েছেন তাঁরা।
নবনীতার মতে, প্রায় প্রতিটি সম্পর্কেই মতের অমিল হয়। অনেকে তা নিয়েই সম্পর্ক বজায় রাখেন। অনেকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান। নবনীতাও সম্পর্ক থেকে সরে আসতে চেয়েছেন। জিতু ও তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পর্কে ইতি টানতে চেয়েছেন। নবনীতার মতে, দুটি মানুষ একসাথে ভালো নাই থাকতে পারেন। ফলে তা বয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। যথেষ্ট ভেবেচিন্তেই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নবনীতা ও জিতু। নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণেই আলাদা হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এর জন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তি দায়ী নন বলে জানালেন নবনীতা।
চারিদিকে জিতু ও শ্রাবন্তীর সম্পর্কের অযথা গুঞ্জন তাঁর কাছে যথেষ্ট খারাপ লেগেছে। নবনীতা জানেন, তাঁদের আলাদা হওয়ার খবরে ব্যথিত অনুরাগীদের একাংশ। কিন্তু সব কিছু স্পষ্ট করতে এদিন গাড়িতে উঠে গন্তব্যে পৌঁছানোর পথে তাড়াহুড়ো করে লাইভে আসেন নবনীতা। তবে নবনীতা ও জিতু বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চান। তাঁদের বন্ধনটা থাকবে বলে আশাবাদী নবনীতা। আত্মসম্মান বজায় রাখতে চান নবনীতা। তবে খারাপ লাগাটা থেকে যাবেই বলে জানালেন তিনি। আগামী দিনে কাজ নিয়ে আলোচনা করতে হলে তাতে সমস্যা নেই জিতু ও নবনীতার। কারণ তাঁদের মধ্যে প্রফেশনাল ইগো তৈরি হয়নি।
