Hoop Life

Vastu Tips: রাহুর দোষ কেটে জীবনে আসবে সাফল্য, শিখে নিন সহজ টোটকা

ছোটবেলায় দাদু-ঠাকুমাকে হয়তো অনেকেই দেখে থাকতে পারেন, তারা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কাক অথবা কুকুরকে খাওয়াতেন। এখনো অনেকেই করে থাকেন এমন। অনেকে অবশ্য সেবা করার উদ্দেশ্যে এমন কাজ করে থাকেন । আবার কেউ কেউ বাস্তু মেনে এই কাজগুলি করে থাকেন। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ টিপস –

কাক ভারতে সাধারণত সহজেই দেখা যায় এমন একটি পাখি। হিন্দু পুরাণে, কাকের কিছু তাৎপর্য রয়েছে। এটিকে শনির বাহন বলে মনে করা হয়। শনি এমন একটি গ্রহ যা বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক হিন্দু এই গ্রহটিকে ভয় করে, কারণ এটি মানুষের জন্য কষ্ট নিয়ে আসতে পারে। যখন এটি কুণ্ডলীতে প্রতিকূলভাবে স্থাপন করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, আমাদের পূর্বপুরুষরা কাকের আকারে পৃথিবীতে আসেন। এই কারণে, কাকদের খাবার দেওয়া আমাদের প্রয়াত পূর্বপুরুষদের খাওয়ানো হিসাবে দেখা হয়। কাকরাও পূর্বপুরুষের বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে। আমাদের জীবনে শনির একটি অনন্য কার্যকারিতা রয়েছে। এটি আমাদের স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করে।

শনি, রাহু, কেতু এই তিন ধরনের গ্রহকে আপনি যদি শান্ত রাখতে চান, আর যদি চান এই তিন ধরনের গ্রহর কোন কুপ্রভাব আপনার জীবনে না পড়ুক তাহলে অবশ্যই এই সমস্যাটিকে সমাধান করতে পারেন অতি সহজেই। প্রতিদিন সকালবেলা উঠে একটি কুকুরকে একটি রুটি খাওয়ানো শুরু করতে পারেন আর যদি সামান্য সরষের তেল মাখিয়ে খাওয়াতে পারেন, তাহলে শনি দেবতা অত্যন্ত প্রসন্ন হয়।

রাস্তার কুকুরকে রুটি খাওয়ানো যেমন ভালো ঠিক তেমনি আপনিও যদি বাড়িতে কোনো কালো রংয়ের কুকুর পুষতে পারেন। তাহলে কিন্তু শনি, রাহু, কেতু আপনার ওপরে অনেকটাই সুদৃষ্টি দেবেন। তাই যদি সম্ভব হয় বাড়িতেই একটি কুচকুচে কালো রংয়ের কুকুর পুষুন, আর তার যত্ন নিন। শুধু তাই নয়, বাড়ি থেকে নেগেটিভ এনার্জি একেবারে চিরকালের মত বিদায় নেবে। বাড়িতে আসবে পজিটিভ এনার্জি।

Disclaimer: বাস্তুবিদদের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল ভিন্ন হতে পারে।

Related Articles