বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ সুন্দরী তথা জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি’র (Pori Moni) থেকে। চলতি বছরেই তাকে থাকতে হয় গারদের পিছনে। বেরিয়েও আসেন জেল থেকে। ধূমধাম করে জন্মদিন পালন করেন এমনকি কাজেও যোগ দেন। কিন্তু, আবারও আইনি নোটিস পেলেন অভিনেত্রী। কিন্তু, কেন?
কেন তিনি আইনি নোটিস পেলেন তার উত্তর জানার আগে জেনে রাখা ভালো, চলতি বছরেই ঢাকা বোট ক্লাব কাণ্ড থেকে শুরু করে তাঁর বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার ও মাদক কাণ্ডে তাঁর জেল হেফাজত হয়। শেষে জেল থেকে ফিরেও আসেন। যেদিন তিনি যেদিন জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান, সেদিন তার হাতে মেহেন্দিতে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। এমনকি পরীমণি এও সংবাদমাধ্যম মারফৎ জানান, ‘যারা আমার জীবন নিয়ে খেলতে চায় বা ঘাটতে আসে, তাদের সবাইকে আমি ওয়েলকাম করছি। আসো। ওয়েলকাম। আমি প্রস্তুত তোমাদের সঙ্গে এই খেলায় অংশ নিতে। দম যতদিন আছে, আমি শেষ অবধি এই খেলায় লড়ে যাব।’
২০১৫ সালে বিনোদন দুনিয়ায় প্রথম পা রাখেন। এবং খুব তাড়াতাড়ি দর্শক মনে জায়গা করে নেন। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে পরীমণি হলেন জনপ্রিয় ও সুন্দরী অভিনেত্রী। কিন্তু, তার ব্যাক্তিগত জীবনের বিরহ সুর ২০১০ থেকেই শুরু হয়ে যায়। তিনি, ২০১০ সালে খালাত ভাই ইসমাইল হোসেনকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন। এখনও পর্যন্ত চারটি বিয়ে ও বিচ্ছেদ হয়।
ব্যাক্তিগত জীবন ছাড়াও তার চরিত্রে বহু দাগ এসেছে মুছেছে। এবারে আবারও আইনি জালে ফেসেছেন তিনি। কী আছে ওই আইনি নোটিসে? জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি আইনের ২ নং ধারার ‘গ’ উপধারা অনুযায়ী— যৌন উত্তেজক কোনও অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নাচ বা সিনেমা, ভিডিয়ো চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থিরচিত্র, গ্রাফিক্স পর্নোগ্রাফির নামান্তর। কারণ, এতে যৌন উত্তেজনার রসদ থাকে। শিক্ষা বা শিল্প থাকে না। শাস্তি হিসেবে রয়েছে, দু’বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড। ইতিমধ্যে পরীমণি নোটিস পেয়েছেন। তাকে বলা হয়েছে যে ফেসবুকে তাঁর পোস্ট করা একাধিক ছবি ও ভিডিয়ো ডিলিট করতে হবে। কারণ, ওই ভিডিও ও ছবি অশ্লীল। ফলে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এবং ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ইসমাতুল্লাহ লাকী তালুকদার নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ফেসবুক থেকে পরীমনির অশ্লীল ছবি ও ভিডিয়ো সরাতে হবে। নয়তো আইনি গ্যাড়াকলে ফেঁসে যাবেন পরীমণি।