মানা হবে না সেনা শাসন, নতুন ‘স্বাধীনতা’র রাত কাটতেই নয়া দাবি বাংলাদেশি ছাত্র আন্দোলনকারীদের
সোমবার এক ঐতিহাসিক দিন দেখেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। পতন হয়েছে হাসিনা সরকারের। ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাত্তরের পর নতুন করে দেশ ‘স্বাধীন’ হয়েছে, দাবি বাসিন্দাদের। বর্তমানে বাংলাদেশের সমস্ত ক্ষমতা সেনার হাতে। সেনাপ্রধান সোদমমবার হাসিনার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনেরকথা জানান। কিন্তু মঙ্গলবার ভোর হতেই ফের নয়া দাবি উত্থাপন কৎরল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
সোমবার রাতেই সমন্বয়করা স্পষ্ট করে দিয়েছিল, সেনা সমর্থিত সরকার বা রাষ্ট্রপতি শাসন তারা মানবে না। পরবর্তী সরকারের রূপরেখা ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিল তারা। সেই মতো মঙ্গরবার ভোর হতেই নিজেদের দাবি সামনে রাখল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম মঙ্গলবার ভোরে জানান, নোবেলজয়ী ডঃ মহমদ ইউনুসকে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে চান তারা। এ বিষয়ে ইউনুস নাকি ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়েছেন।
হাসিনাকে স্বৈরাচারি শাসক বলার পাশাপাশি ইউনুস বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নতুন করে শুরু করতে চায়। নতুন করে দেশটি গড়ে তুলতে চায়। তবে ভারতের সংবাদ মাধ্যমকে অবশ্য ইউনুস জানিয়েছিলেন, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে চান না তিনি।
সংরক্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিগত বেশ অনেকদিন ধরেই উত্তাল বাংলাদেশ। পথে নামে ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের মৃত্যুতে বিক্ষোভ ক্রমে তীব্র হয়। সোমবার পরিস্থিতি ওঠে চরমে। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ নেমে আসে রাস্তায়। শেষমেষ পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের বাসভবন থেকে সামরিক হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন তিনি। এদিকে সোমবারও বাংলাদেশে অব্যাহত ছিল হিংসা। ওপার বাংলার সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২২ শে জুলাই থেকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৪০। মঙ্গলবার পরিস্থিতি কেমন থাকে ওদেশের সেটাই দেখার।