বাংলাদেশের বহু-চর্চিত অভিনেত্রী হলেন পরীমনি। অতিসম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোষ্টের মাধ্যমে তাঁর নতুন বিয়ের সাক্ষী হলেন নেটপরিবার।
অভিনেতা শরিফুল রাজকে বিয়ে করলেন পরী। কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন যে রাজের সন্তানের মা হতে চলেছেন, সাথে বিয়ের ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন একটি সাক্ষাৎকারে। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। সন্তান আসার আগেই অবশ্য নামও ভেবে রেখেছেন।মেয়ে হলে রানি আর ছেলে হলে রাজা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে গত ১৭ অক্টোবর রাজপরীর বিয়ে হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আবার কেন?
পরী জানিয়েছেন আগের বছর শরিফুল রাজকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন ‘গুণীন’ ছবির সেটে। কারণ তাঁর স্বামী নিজেও একজন জনপ্রিয় অভিনেতা।”আমার আর রাজের পরিবারের সদস্যদের অনেকে তো জানতেনই না। তাই আবার আমরা বর-বধূ সেজে বিয়ে করলাম। সেদিন অনেকটা পুতুলের বিয়ের মতোও বিয়ে হয়েছিল কোনও আয়োজন ছিল না, তাই এইবার সামাজিক মতেই শুরু করলাম দাম্পত্য জীবন।” দুটি কেক কেটেছেন তাঁরা তাঁদের নতুন জীবনের সেলিব্রেশনে। নাম ‘হলুদ ছোঁয়া’ ও দর্শকের প্রিয় ‘রাজপরী’। রাজের সাথে দ্বিতীয়বার বিয়ে হলেও পুনরায় আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ভাসান পরীমণি।
পরীর পরণে ছিল সোনালি কাজ করা খয়রি রঙের বেনারসি। মাথায় সোনালি রঙের ওড়না। সারা অঙ্গ গয়নায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল তাঁর। সাথে আবার হাত ভরা লাল চুড়ি তাঁকে সত্যিই পরীর মতো রূপদান করেছিল। মাথায় পাগড়ি পড়ে রাজও সেজেছিলেন স্ত্রী-এর সাথে মিল রেখে। ঘন সবুজ বন্ধগলার উপর সোনালি এমব্রয়ডারি করা শেরওয়ানি পড়েছিলেন তিনি। বিয়েতে উপস্থিত থাকা তিন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও রেদওয়ান রনিই জানিয়েছিলেন রাজপরীর গায়ে হলুদ ও বিয়ের সু-সংবাদটি। এছাড়াও কম পক্ষে আরও ২০ জন ছিলেনই ওই সামাজিক বিয়েতে। বেশ ঘরোয়া পদ্ধতিতে শুভ পরিণয় সম্পন্ন করেছেন দুজনে।
একের পর এক কুরুচিকর বিতর্ক যেমন যৌন হেনস্থা, মাদক মামলা ইত্যাদির সাথে সারা বছর জড়িয়ে থাকেন তিনি। ২০২১-এর ৪ আগস্ট পরী ঢাকার অভিজাত পল্লি বনানীর বাড়ি থেকে মাদক-সহ হাতে নাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-এর কাছে। সেইসব দূর করে এগিয়ে এসেছেন নতুন জীবনের পথে। সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান রনির পর যেহেতু এটা তাঁর পাঁচ নম্বর বিয়ে। কোথাও মন টেকেনি। যেহেতু এবার রাজের সন্তানের মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হয়ত সারাজীবনের মতো রাজের রানি হয়েই বাঁচতে চান তিনি।