Lifestyle: প্রায়ই হাত থেকে পড়ে যায় চিনি বা নুন? অজান্তেই অশুভ সময় ডেকে আনছেন না তো!
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কারণে-অকারণে, সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে ঘটে যায় অনেক খুচরো ঘটনা। যেগুলি আমাদের জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে নানা দিক থেকে। আমাদের কিছু অভ্যাস থেকেও হতে পারে ক্ষতি। আর এমনই কিছু ঘটনার ফলাফল বর্ণিত হয় বাস্তুশাস্ত্রে। পৃথিবীর প্রাচীন শাস্ত্রের মধ্যে অন্যতম হল এই বাস্তুশাস্ত্র। এই শাস্ত্র অনেকেই মেনে চলেন নিত্যদিনের নানা ঘটনাবলীর সঙ্গে সম্পর্কস্থাপন করে।
অনেক সময় আমাদের হাত থেকে অসাবধানতাবশত পড়ে যায় অনেক জিনিস। কখনো হাত থেকে পড়ে যায় ভাতের থালা, কখনো আবার দুধের পাত্র পড়ে যায় ফসকে। আবার অনেকেই উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলে দেন অনেক সময়। কিন্তু জানেন কি, এই ঘটনাবলী আমাদের জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে! বাস্তুশাস্ত্রে উল্লিখিত আছে এমন কথা। একনজরে দেখে নিন, এইসব ঘটনা কিভাবে প্রভাব বিস্তার করে আমাদের জীবনে।
ভাত পড়ে যাওয়ার/ফেলে দেওয়ার প্রভাব: হিন্দুধর্মে ভাতকে লক্ষ্মীর সঙ্গে তুলনা করা হয়। তাই ভাতের থালা বা পাত্র অসাবধানতাবশত হাত থেকে পড়ে গেলেও সেটিকে অশুভ বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে উচ্ছিষ্ট ভাত ফেলে দেওয়াকেও অশুভ বলে বর্ণনা করে প্রাচীন বাস্তুশাস্ত্র। এতে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হতে পারেন। সংসারে অর্থাভাব দেখা দিতে পারে। তবে বাড়তি ভাত পশু বা পাখিকে খাওয়ানো অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
চিনি/নুন পড়ে যাওয়ার প্রভাব: হাত ফসকে চিনি বা নুন পড়ে যাওয়াকেও অশুভ বলে মনে করেন বাস্তুবিদরা। এতেও রুষ্ট হতে পারেন দেবী লক্ষ্মী। এতে সাংসারিক সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। পাশাপাশি নানা অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিতে পারে এর প্রভাবে।
দুধ পড়ে যাওয়ার প্রভাব: বাস্তুশাস্ত্রে দুধ পড়ে যাওয়ার বিষয়টিকেও অশুভ বলে মনে করা হয়। দুধের পাত্র থেকে ছলকে দুধ পড়ে গেলে তার প্রভাবে নানা সাংসারিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ দুধ সাদা বর্ণের, আর এই বর্ণ চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। চন্দ্র আমাদের মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে। তাই এটিকে অশুভ বলে মনে করা হয়। তবে দুধ ফুটতে ফুটতে উথলে উঠলে সেটিকে শুভ বলেও মনে করা হয় বাস্তুশাস্ত্রে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের উপর লিখিত। ব্যক্তিবিশেষে এর প্রভাব আলাদা হতে পারে।