Hoop Food

অতি সুস্বাদু বাটা মাছের রইল দুটি সেরা রেসিপি

বাটা মাছ খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। বাটা মাছ সহজে হজম হয়ে যায়। তাই শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেকেই বাটা মাছ খেতে পারেন। ছোট ছোট বাটা মাছ খাওয়া চোখের জন্য ভীষণ ভালো। তাই চটপট বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন বাটা মাছের দুটি রেসিপি।

১) বাটা মাছ ভাপা-»
উপকরণ: বাটা মাছ ভালো করে ধুয়ে রাখা, সরষে বাটা, পোস্ত বাটা, নারকেল বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, নুন, হলুদ গুঁড়ো, সরষের তেল, গোটা কাঁচা লঙ্কা, ধনেপাতা কুচি।

প্রণালী: মাছে খুব ভালো করে নুন, হলুদ মাখিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এই রান্নাটা সাধারণত কাঁচা মাছ দিয়ে রান্না করতে হবে। তবে যাদের কাঁচা মাছ খেতে সমস্যা হয় তারা হালকা ভেজে নিতে পারেন। সমস্ত উপকরণ দিয়ে মাছগুলোকে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। একটা ফ্রাইংপ্যানে সরষের তেল ব্রাশ করে পুরো মিশ্রণটি দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পরে ঢাকা খুলে মাছ গুলিকে উল্টে নিয়ে আবারও ঢাকা দিয়ে দিন। এবার ঢাকা খুলে ওপর থেকে কাঁচা সরষের তেল, গোটা কাঁচা লঙ্কা চিরে এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘বাটা মাছ ভাপা’।

২) বাটা মাছের রসা-»
উপকরণ: বাটা মাছ ভালো করে ধুয়ে রাখতে হবে, টমেটো কুচি, পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, রসুন কুচি, পোড়া টমেটো বাটা, নুন, চিনি স্বাদমতো, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, সরষের তেল, ধনেপাতা কুচি।

প্রণালী: ফ্রাইং প্যানে সরষের তেল গরম করে তাতে মাছগুলি হালকা ভেজে নিতে হবে। বেশ কয়েকটা টমেটো ভালো করে পুড়িয়ে নিয়ে তার খোসা ছাড়িয়ে চটকে রাখতে হবে। মাছ গুলি তুলে নিয়ে এরপরে তাতে সমস্ত উপকরণ দিয়ে দিতে হবে। ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো হয়ে গেলে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে দিতে হবে। সামান্য উষ্ণ জল দিয়ে ঢাকা রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পর ঢাকা খুলে মাছ উলটে পালটে ধনেপাতা কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘বাটা মাছের রসা’।

Related Articles