Hair Care Tips: চুলের পরিচর্যায় পান পাতার সহজ পাঁচটি টিপস
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র অনুসারে, পান আপনার চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। নতুন করে চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই পান খাওয়ার পাশাপাশি মাথাতে হেয়ার প্যাক হিসেবে লাগাতে পারেন। পানের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান আপনার চুলকে কুচকুচে কালো করতেও সাহায্য করবে, তবে পানের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন কয়েকটা সামান্য ঘরোয়া উপাদান। এই উপাদানগুলো দিয়েও কিন্তু আপনার চুল হবে ভীষণ সুন্দর। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ টিপস –
১) পান পাতা, অ্যালোভেরা জেল –
উপকরণ –
পান পাতার রস তিন টেবিল চামচ
অ্যালোভেরা জেল চার টেবিল চামচ
প্রণালী – দুটি উপকরণ দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রনটিকে খুব ভালো করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে ফেলুন এবং প্রায় এক ঘন্টার মতন রেখে ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, শ্যাম্পু ইচ্ছা হলে করতে পারেন, নাও করতে পারেন।
২) পান পাতা, আদার রস –
উপকরণ –
পান পাতার রস তিন টেবিল চামচ
আদার রস চার টেবিল চামচ
প্রণালী – পান পাতার সঙ্গে আদার রস খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে, মিশ্রনটিকে খুব ভালো করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে ফেলুন, দেখবেন আপনার চুল উঠে যাওয়ার সমস্যা অনেকখানি দূর হয়ে গেছে।
৩) পান পাতা, জবা ফুল –
উপকরণ –
পান পাতার রস তিন টেবিল চামচ
জবা ফুলের চার টেবিল চামচ
প্রণালী – সব উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে আর মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত খুব ভালো করে লাগিয়ে অন্তত দুই ঘণ্টার মত রেখে দিন। জবা ফুল চুলকে ভালো করতে সাহায্য করবে।
৪) পান পাতা, পেঁয়াজের রস –
উপকরণ –
পান পাতার রস তিন টেবিল চামচ
পেঁয়াজ এর রস চার টেবিল চামচ
প্রণালী- দুটি উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। যদি ছোট ছাঁচি পেঁয়াজ পাওয়া যায়, তাহলে খুবই ভালো হয়। না হলে প্রতিদিন রান্নার কাজে যে পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয় সেই পেঁয়াজ দিয়ে সুন্দর হেয়ার প্যাকটি বানিয়ে ফেলতে পারেন।
৫) পান পাতা, কারি পাতা –
উপকরণ –
পান পাতার রস তিন টেবিল চামচ
কারি পাতা রস চার টেবিল চামচ
প্রণালী- প্রত্যেকটি উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। কারিপাতা চুলের জন্য ভীষণ ভালো। তাইতো দক্ষিণ ভারতের মেয়েদের মাথায় এত চুল। দক্ষিণ ভারতে প্রচুর পরিমাণে কারি পাতা পাওয়া যায় এই পাতাকে খুব ভালো করে পেস্ট করে পান পাতার সঙ্গে লাগাতে পারলে পাবেন বিভিন্ন উপকার।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।