অমৃতা সিং, একটা সময় বেশ প্রভাবশালী ও সুন্দরী অভিনেত্রী ছিলেন। ১৯৮৩ সালের ‘বেতাব’ দিয়ে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন অমৃতা। এরপর তাকে দেখা গিয়েছে মর্দ, সূর্যবংশী, রাজু বান গেয়া জেন্টলম্যান, তুফান, সানি, ওয়ারিশ, রং, খুদগর্জ, টু স্টেটস এর মত বহু মুভিতে।
অমৃতা তার অভিনয় জীবনে যেমন সফল ছিলেন ততটা সফল তিনি তার ব্যাক্তিগত জীবনে নন। তখনও সইফ আলি খানের দেখা তিনি পাননি। তার আগে রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন অমৃতা, অন্তত এমন গুঞ্জন ছিল একটা সময় বি টাউনে। রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক চলাকালীন তিনি বহু মুভি করেন, এবং এই মুভি করাকালীন তিনি অন্য এক অভিনেতার প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করেন। কে তিনি? তিনি হলেন হ্যান্ডসাম অভিনেতা বিনোদ খান্না।
পরিচালক জে পি দত্তর ছবি ‘বাতওয়ারা’-র শুটিং-এ প্রথমবার কাছাকাছি এসেছিলেন বিনোদ খান্না ও অমৃতা সিং। এই সময় আচমকা রবি শাস্ত্রীর থেকে সরে আসেন অমৃতা। ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বিনোদের। যদিও মুভি শেষে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি, কিন্তু এরপরেও নতুন ছবি শুটিং-এ দুজনের দেখা হয়, এবং নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বিনোদ ও অমৃতা। তাঁদের সেই সম্পর্কের কথা রবি শাস্ত্রীর কানে গেলে তিনি অমৃতার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। এই ব্যাপার অমৃতার মায়ের একেবারেই পছন্দ ছিল না।
অমৃতা শেষে তার থেকে বয়সে অনেক ছোট সইফ আলি খানকে বিয়ে করেন ভালোবেসে। সইফ বর্তমানে ৪০ এর ঘরে এবং অমৃতা ৬০ এর ঘরে। দুজনের বয়সের বিস্তর ফারাক থাকা সত্বেও বিয়ে করেন ও সংসার করেন। যদিও এক ছেলে ও এক মেয়ে হওয়ার পর সইফ সরে আসেন অমৃতার থেকে। বর্তমানে অমৃতা তার দুই সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকেন।