করোনা অতিমারীর কারণে ভারতের অধিকাংশ স্থানে সিনেমা হল বন্ধ রয়েছে। বিনোদন জগতের উপর নেমে এসেছে কোভিড-19-এর অভিশাপ। কিন্তু অক্ষয়কুমার (Akshay kumar) নাছোড়বান্দা। তিনি এগিয়ে এসেছেন কিছুটা হলেও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে। ফলে অক্ষয় অভিনীত ‘বেল বটম’ সিনেমা হলেই মুক্তি পেয়েছে। শুক্রবার মুক্তি পাওয়া ‘বেল বটম’ প্রথম দিনেই বক্স অফিসে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। ফলে শনিবারের মধ্যেই এই ফিল্মের কালেকশন দাঁড়াতে চলেছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
দর্শকদের পাশাপাশি স্পাই থ্রিলার ফিল্ম ‘বেল বটম’ প্রশংসিত হয়েছে সমালোচকদের কাছেও। এই খরার সময় বক্স অফিস বিশেষজ্ঞরাও এই ফিল্ম নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। বলিউড ট্রেড অ্যানালিস্টরা জানিয়েছেন, ‘বেল বটম’-এর কালেকশন দেখে বোঝা যাচ্ছে প্রথম চারদিনেই তা তেরো কোটির আশেপাশে পৌঁছে যাবে।
তবে মহারাষ্ট্র হিন্দি ফিল্মের অন্যতম পীঠস্থান। কিন্তু সেখানে সমস্ত হল বন্ধ থাকায় প্রদর্শিত হচ্ছে না ‘বেল বটম’। ফলে ফিল্মের রাস্তায় একটা কাঁটা থেকেই যাচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যেও মাত্র পঞ্চাশ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা যাচ্ছে। কিন্তু রবিবারের পর সোমবার থেকে ‘বেল বটম’-এর পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে ‘লক্ষ্মী’-র মতো এবারেও সফল অক্ষয়কুমার ম্যাজিক।
‘বেল বটম’-এর শুটিং থেকে পোস্ট-প্রোডাকশন পুরোটাই করোনাকালে হয়েছে। গত বছর স্কটল্যান্ডে অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ বায়োবাবলে থেকে শুটিং করেছেন অক্ষয়, লারা দত্ত (Lara Dutta), বাণী কাপুর (Vani kapoor)-রা। অক্ষয় মনে করেন, করোনা পরিস্থিতিতেও যদি কোনো ফিল্ম ত্রিশ কোটি টাকার ব্যবসা করে, তাহলে তা প্রায় একশো কোটির সমান, যা নিঃসন্দেহে এই মুহূর্তের জন্য রেকর্ড কালেকশন।
‘বেল বটম’-এর কাহিনীকাল 1984 সাল। রণজিৎ এম. তিওয়ারি (Ranajit M. Tiwari) পরিচালিত এই ফিল্মে অক্ষয় একজন ‘র’ এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এই ফিল্মে তুলে ধরা হয়েছে প্লেন হাইজ্যাক ও সেই হাইজ্যাকড প্লেনের 210 জন যাত্রীকে উদ্ধার করার ঘটনা। পূজা এন্টারটেনমেন্ট ও এমি এন্টারটেনমেন্টের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে ‘বেল বটম’।
View this post on Instagram