Benefits of Dates: নিমেষে দূর হবে কঠিন রোগ, প্রতিদিন খেজুর খান এই পদ্ধতিতে
সুস্থ শরীর এবং তরতাজা স্বাস্থ্যের জন্য ফল খাওয়ার প্রতি উৎসাহ দেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে খেজুর (Dates) খাওয়া খুবই জরুরি বলে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। খেজুরে থাকা ভরপুর পুষ্টি উপাদান শরীরের একাধিক রোগ দূর করতে সাহায্য করে। শরীরকে ফিট রেখে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে খেজুর। তবে এমনি খেলে হবে না। খেজুরের পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ পেতে হলে যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবেই খেতে হবে। খেজুর খাওয়ার নিয়ম এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে প্রতিবেদনটা সম্পূর্ণ পড়ুন।
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। আয়রন এবং ফাইবারে ভরপুর এই ফল শরীরকে একাধিক রোগ থেকে মুক্ত করে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে খেজুরে। এই ফল নিয়মিত খেলে হার্ট ভালো থাকে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় খেজুর। পাশাপাশি রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখে। খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব যা চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আর এটা খুবই স্বাস্থ্যকর মিষ্টি।
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা খিদে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতাকে কমাতে সাহায্য করে এই ফল। খাদ্য গ্রহণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে তা ওজন কমাতেও একটা বড় ভূমিকা পালন করে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় রয়েছেন তারা নিজেদের নিত্য দিনের ডায়েটে খেজুর রাখতেই পারেন।
খেজুর খেলে হজমের প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত হয়। এই ফলে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। তবে খেজুর খাওয়ার একটি সঠিক পদ্ধতি রয়েছে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তার আগে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে খেজুর গুলি। এতে ফলে উপস্থিত ট্যানিন বা ফাইটিক অ্যাসিড দূর হয়ে যায় যা খেজুরের পুষ্টিগুণ সহজে শোষণ করে নেয়। উপরন্তু জলে ভিজিয়ে রাখলে খেজুর হজমেও সহায়তা হয়। তাই খেজুর ভিজিয়ে খাওয়াই ভালো।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।