Hoop Life

Hair Care Tips: ঘরোয়া উপাদান দিয়েই ফিরবে চুলের ঘনত্ব, এই পদ্ধতি অনেকেই জানেন না

তেল কীভাবে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে? আমরা অনেকেই জানি না, যে তেল চুলের একমাত্র খাবার তেল যদি আমরা নিয়মিত চুলের মধ্যে মাসাজ করতে পারি, তাহলে দেখবেন আপনার চুল কত সুন্দর হবে। তবে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন কয়েকটা জিনিস যেমন পেঁয়াজের রস, কেশুতে পাতার রস, কারি পাতা বা অ্যালোভেরা জেল এগুলো মেশালে তেলের গুনাগুন কিন্তু অনেকাংশে বেড়ে যায়।

এছাড়া তেলের সঙ্গে যদি মিশিয়ে নিতে পারেন ভিটামিন ই অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল। আরো অনেক কিছু তাহলেও কিন্তু সেই তেলের গুনাগুন অনেক পরিমাণে বেড়ে যাবে, এছাড়া ফুলের মধ্যে গোলাপ ফুল এবং জবা ফুলের পেস্ট এর মধ্যে দিতে পারেন।

১) হেয়ার কালার – বর্তমানে পরিবেশ দূষণ এবং নানা কারনে আমাদের চুল কিন্তু অকালে পেকে যেতে পারে, চুলকে যদি আপনি ভালো রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনি যদি কেশুত্তে পাতার তেল ব্যবহার করুন। তাহলে কিন্তু আপনার চুল একেবারে কালো কুচকুচে থাকবে। কেশুত্তে পাতাকে খুব ভালো করে বেটে নিয়ে নারকেল তেলের সঙ্গে লাগান। সঙ্গে মিশিয়ে নিন পেঁয়াজের রস, কাজ হবে দ্বিগুন তাড়াতাড়ি। দেখবেন, আপনার চুল একেবারে কালো, কুচকুচে হয়ে গেছে।

২) চুলের কন্ডিশনার – চুলে যদি উপযুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করতে চান, তাহলে অ্যালোভেরা পাতা ভালো করে বেটে নিতে হবে। এরপর এরসঙ্গে মেশাতে হবে, আমলকি গুঁড়ো এবং শিকাকাই। খুব ভালো করে নারকেল তেলের সঙ্গে চুলে লাগিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন, আলাদা করে আর বাইরে থেকে আপনাকে কন্ডিশনের কিনতে হবেনা।

৩) চুল পড়ার একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার – প্রতিদিন নিয়ম করে যদি এই তেল মাথায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগাতে পারেন, তাহলে আপনার চুল পড়া অনেকটাই কন্ট্রোলে থাকবে। তবে এই তেল আপনাকে তৈরি করতে হবে। কারিপাতা ভালো পরিষ্কার করে নিয়ে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এর মধ্যে বেশ কয়েকটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফেলে দিন। এটি আপনার চুল কালো করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

চুলের বৃদ্ধির জন্য এই তেলের উপকারিতা-

১) যাদের চুল সহজে বাড়ে না বা চুল অকালে পড়ে যাচ্ছে বা মাথায় টাক পড়ে গেছে তারা কিন্তু এই তেল ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু এই পাতার গুণে মাথায় ছোট ছোট চুল গজিয়ে যাবে।

২) যাদের চুল সহজে বাড়ে না বা যাদের রাতে ঘুম আসে না, তারা কিন্তু এই তেল ব্যবহার করতে পারেন, এই তেল যদি আপনি মাথায় মালিশ করেন, তাহলে কিন্তু আপনার চুল অনেক যেমন সুন্দর হবে, ঠিক তেমনই রাত্রিবেলা অনেক তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসবে। তাই যারা অনিদ্রাজনিত রোগে ভুগছেন, তারা অবশ্যই এই তেল ব্যবহার করুন।

৩) যাদের অকালে চুল পেকে যাচ্ছে, তারা যদি লাগাতে পারেন, তাহলে কিন্তু আপনার চুল একেবারে কুচকুচে কালো হয়ে যাবে।

সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।

Related Articles