যৌবন থাকবে তরতাজা, বিছানায় ফিরবে উদ্যম, ম্যাজিক লুকিয়ে তরমুজের খোসায়
তরমুজ (Watermelon) খেতে কে না ভালোবাসে। গরমকাল মানেই যে সমস্ত ফলগুলির কথা প্রথম মাথায় আসে তার মধ্যে অন্যতম তরমুজ। রসে ভরা লাল টুকটুকে এই ফল ছাড়া গরমকাল যেন ভাবাই যায় না। আর বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীরে জলের ঘাটতি মেটায় তরমুজ। কেউ তরমুজ এমনিই কেটে খান, আবার কেউ কেউ খান জুস বানিয়ে। তীব্র গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজ খেলে শরীরে জলের ঘাটতি মেটে। স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী এই ফল।
তরমুজ খান না বা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা কম। তবে তরমুজের শাঁসটাই সকলে খেয়ে থাকেন, খোসা (Watermelon Peel) খাওয়ার কথা কেউ ভেবেছেন কি কখনো? জানেন কি, তরমুজের সবুজ খোসাতেও রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। লাল তরমুজের শাঁসের মতো ফলের খোসাও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো। কিন্তু কীভাবে খাবেন তরমুজের খোসা? কী কী উপকারই বা পাওয়া যায় এ থেকে?
রান্না করে খাওয়া যায় তরমুজের খোসা। ডালের মধ্যে সবজির মতো মিশিয়ে রান্না করা যায় এই ফলের খোসা। কেউ কেউ স্যালাডে রাখেন তরমুজের খোসা, আবার কেউ কেউ হালুয়া বানিয়েও খেয়ে থাকেন। এমনকি আলু্র তরকারিতে মিশিয়েও রান্না করা যায় তরমুজের খোসা। তবে এই খোসা কাঁচা খাওয়াই বেশি উপকারী বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এই তরমুজের খোসা। হলুদ এবং মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত মুখে মাখলে ফিরে আসে ত্বকের জেল্লা। শরীরচর্চার সময় স্ট্রিটুলাইনের পরিপূরক পেশিতে অক্সিজেন সরবরাহ করে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তরমুজের খোসার নির্যাস রক্তচাপ কমায়। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা তরমুজের খোসা খেতে পারেন। এই ফলের খোসা শরীরে শক্তিবৃদ্ধি করে। যৌবনকে দীর্ঘায়িত করে। নিয়মিত তরমুজের খোসা খেলে পুরুষত্ব তরতাজা হয়।