whatsapp channel

Balijhor: বদলে গেল সম্পর্কের সমীকরণ, মা-মেয়ের রসায়ন পরিণত হলো সতীন কাঁটায়!

6 ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘বালিঝড়’। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে আবারও ছোট পর্দায় ফিরেছেন দর্শকদের প্রিয় কৌশিক (Koushik)-তৃণা (Trina Saha) জুটি। ফিরেছেন ইন্দ্রাশিস রায় (Indrashish Roy)-ও।…

Avatar

Nilanjana Pande

6 ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘বালিঝড়’। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে আবারও ছোট পর্দায় ফিরেছেন দর্শকদের প্রিয় কৌশিক (Koushik)-তৃণা (Trina Saha) জুটি। ফিরেছেন ইন্দ্রাশিস রায় (Indrashish Roy)-ও। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী বুনে শুরু হয়েছে ‘বালিঝড়’। কিন্তু সম্প্রচারের আগে থেকেই ‘বালিঝড়’ নামের কারণে বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছিল এই ধারাবাহিক। এবার আবারও সমালোচিত লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)। কারণ তিনি শেষ অবধি মা-মেয়েকে বানিয়ে দিলেন সতীন।

‘বালিঝড়’-এর নায়িকা ঝোড়ার বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন ভরত কল (Bharat Kaul)। ধারাবাহিকে তিনি একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, নাম সমুদ্র সেন। তাঁর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করছেন ময়না মুখার্জী (Moyna Mukherjee)। অপরদিকে সমুদ্র সেনের সেক্রেটারির ভূমিকায় অভিনয় করছেন প্রীতি বিশ্বাস (Prity Biswas)। কিন্তু ‘বালিঝড়’-এর শুরুতেই বোঝা গিয়েছে সমুদ্রের সাথে তার সেক্রেটারির সম্পর্কের সমীকরণ ব্যক্তিগত স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। এমনকি সমুদ্রের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে তার সেক্রেটারির মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্ত্রী সেখানে গৌণ। চিত্রনাট্য নিয়ে নয়, বরং আপত্তি উঠেছে ‘বালিঝড়’-এর কাস্টিং নিয়ে। লীনার আগের ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’-য় মিনির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রীতি ও তাঁর মায়ের চরিত্রে ছিলেন ময়না। কিন্তু সমীকরণ উল্টে গেল ‘বালিঝড়’-এ। একসময়ের মা ময়না হয়ে গেলেন প্রীতির সতীন-কাঁটা।

অনেকে মনে করছেন, সমুদ্র সেনের ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক দেখা যাবে ‘বালিঝড়’। তবে এর আগে রাজনৈতিক মঞ্চে প্রীতির সিঁথিতে দেখা গিয়েছিল সিঁদুর। ফলে বোঝা গিয়েছে প্রীতি বিবাহিত। কিন্তু ধারাবাহিকের সম্প্রচার যত এগিয়েছে, ততই দেখা গিয়েছে, প্রীতির সিঁথিতে সিঁদুরের অস্তিত্ব নেই। তাহলে প্রীতির সাথে সমুদ্র সেনের বিয়ে গোপনে হয়েছে কিনা, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রকৃতপক্ষে, নায়িকারা কখনও তাঁদের একসময়ের নায়কের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, এই উদাহরণ থাকলেও তা অবশ্যই সিনেমার পর্দায়। কিন্তু ধারাবাহিকের সাথে দর্শকের সংযোগ তুলনামূলক ভাবে বেশি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তাঁদের ড্রইংরুমে আবির্ভাব ঘটে ধারাবাহিকের চরিত্রগুলির। সকলে একাত্ম বোধ করেন টেলিভিশনের পর্দার সাথে, চরিত্রের জীবনের সাথে। ফলে কিছুটা হলেও কাস্টিং ডিরেক্টরদের উচিত কাস্টিং-কে সচেতন ভাবে নেওয়া।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Star Jalsha (@starjalsha)

whatsapp logo