নিজের বিয়েতে নিজেই নিমন্ত্রিত, কিভাবে কাছাকাছি আসবে শঙ্খ-মোহর, রইলো ভিডিও!
রাত ৮ টা মানেই খড়কুটো শেষ এবার মোহরের আসার পালা। বয়স্ক থেকে টিনেজ সকলের প্রিয় ধারাবাহিক। আসলে এর প্রিয় পিছনে আছে অন্য আকর্ষণ। আসল হল কলেজের অধ্যাপকের সাথে কলেজ পড়ুয়ার প্রেম। প্রতীক আর সোনামনির অভিনয়ে মুগ্ধ করেছেন বাঙালি দর্শকদের। আসলে বাস্তবজীবনের গল্প, সংসারের রোজকার সুখ-দুঃখের গল্পের থেকে ছক ভেঙে অন্য সিরিয়ালগুলোর গল্পের আকারে তুলে ধরা হয় বলেই টিআরপি সবসময় শীর্ষে থাকে।
একমাস আগে দেখানো হয়েছিল মোহর আর শঙ্খ স্যারের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু শঙ্খের বাড়ির ছিল না কোনো মত। তারপর শঙ্খের জ্যাঠামশাই মোহরের কাছে অনুরোধ করে তার ভাইপোকে মুক্তি দেওয়ার আর্জি করেন। আর জ্যাঠা শ্বশুরের কথা মতো মোহর তাই করে। এরপর শুরু হয় ভুল বোঝাবুঝি।
তারপর কিছুদিন পর ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে মোহরও শঙ্খকে তাঁর জ্যাঠামশাইয়ের দেওয়া সমস্ত কথার জানিয়ে দেয়। এবার শঙ্খও মোহরকে জব্দ করার জন্য জেঠ্যুর কথামতো বিয়েতে রাজী। তারপর শঙ্খ উধাও কাউকে না বলে উধাও। তারপর মোহর শঙ্খের বিরহে কুপোকাত। মন্দিরে বসে আছে মোহর কিছুদিন পর শঙ্খের প্রবেশ। তারপর? তারপর কি শঙ্খ স্যার এদিকে মোহরের সাথে ঘর বাঁধবে বলে পুরোপুরি রেডি। শ্রেষ্ঠাকে মুখের ওপর না বলে দিয়েছে আর জ্যাঠামশাইকেও বলে দিয়েছে বিয়েতে রাজী না হলে বাড়ি থেকে নেবে বিদায়। আর এই ভয়ে জ্যাঠাও রাজি। শঙ্খের বাবা মা ও মোহরের দিদি জামাইবাবু মোহরকে দেখিয়ে দেখিয়ে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে তা দেখে মোহরের হিংসে হচ্ছে। আর শ্বাশতি ও মোহরকে কষ্ট পেতে বারণ করছে।
পরবর্তী প্রোমোতে দেখানো হচ্ছে, মোহরের বাবা মাও হাজির বিয়েতে। আর মোহর ও চোখের জল নিয়ে শাড়ি পড়ে হাজির নিজের প্রাক্তনের বিয়েতে। অনুদিকে শঙ্খ স্যার আশীর্বাদ সাডতে বসে গেছে আর মুচকি হাসে মোহরের দিকে তাকিয়ে। এবার অদিতি ম্যাম ওরফে শঙ্খের মা বলে ওঠে সে মোহরকে আশীর্বাদ করবে তখন মোহর বলে ওঠে আমি কেন তখন উত্তর আসে শঙ্খের তরফ থেকে। আমি আমার বিয়েতে সবাইকে উপহার দিচ্ছি,তোমাকেও নিতে হবে আর মোহরের মা ও বলছে বড়োদের মুখে কথা না বলে যা দিচ্ছে তা ভালোবেসে নাও।
তারপর অদিতি ম্যাম ভালোবেসে গলায় হার পড়িয়ে দিলেন। তারপর মোহর মনে মনে বলে উঠলো শঙ্খ তুমি সুখে থেকো আর আমি না দুঃখটা নিলাম। এরপর যখন সত্যি মোহরের সাথে শঙ্খের বিয়ে হবে তখন মোহরের কি এক্সপ্রেশান তা দেখার জন্য উৎসুক জনতা। মানুষ আর অপেক্ষা করতে পারছেনা এই পরবর্তী দেখবে বলে। আর এদিকে এই টান টান উত্তেজনা জিয়ে রাখার জন্য পরিচালকের এই মোহর টিআরপিতে সেরার সেরাতে উঠে এল। মাঝে দুসপ্তাহ পিছিয়ে গেলেও আবার সেরা স্থানে এগিয়ে এল। সিরিয়ালের ১ বছর পর কি এদের সত্যি মিল হচ্ছে। আরো কাছাকাছি আসতে চলেছে মোহর-শঙ্খ। এবার কি হবে তা দেখতে পরবর্তী চিত্রনাট্য দেখলে বোঝা যাবে।
View this post on Instagram