ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য আচারি করলা বানানোর রেসিপি
করলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। বাচ্চারা অনেক সময় করলার তেতো স্বাদ হওয়ার জন্য খেতে চায় না। তবে চিন্তা করতে হবে না, বাড়ির বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের জন্যই বানিয়ে ফেলতে পারেন অসাধারণ এই রেসিপিটি যার নাম আচারি করলা।
করলার উপকারিতা -»
হজমে সাহায্য করে করোলা হজম প্রক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে দেয় জলের সঙ্গে মধু এবং করলার রস মিশিয়ে খেলে গ্যাস অম্বল থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায় তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে করোলা কৃমিনাশক এটি দৃষ্টিশক্তিও ভালো করে যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তারা অবশ্যই করলার রস পান করুন। বার্ধক্য ঠেকাতে কাজে লাগে করলা। যারা ডায়াবেটিসের রোগী তারা দিনে একটি করে করলার রস খেতে পারেন। করলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে করলা। করলার মধ্যে রয়েছে ফসফেট অ্যাক্টিভেটেড প্রোটিন কাইজেন নামক এক ধরনের এনজাইম।
যা আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে করলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ফাইবার ও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। হাটের পেসেন্ট যারা আছেন তারা অবশ্যই করলার রস খান। খাবারে রুচি আনতে করলা অনবদ্য একটি ঔষধ। ম্যালেরিয়া রোগীদের করলা পাতার রস খাওয়ালে খুব উপকার পাওয়া যায়। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে করলার রস। এত উপকারিতা যখন রয়েছে এই খাবারের তাহলে অবশ্যই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন।
উপকরণ -»
করোলা ৫০০ গ্রাম
পেঁয়াজকুচি ২ টি
রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো স্বাদমতো
টমেটো বাটা ১ টেবিল চামচ
নুন মিষ্টি স্বাদ মত
টক, ঝাল আমের আচার ২ টেবিল চামচ
১ চা-চামচ আমচুর পাউডার
১ টেবিল-চামচ আচারের ভাজা মশলা
সরষের তেল ১ কাপ
প্রণালী -»
প্রথমে আচারের ভাজা মশলা বানিয়ে নিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ১ টেবিল চামচ পাঁচফোড়ন, দুটো তিনটে শুকনো লঙ্কা, ১ টেবিল চামচ গোটা সরষে, ১ টেবিল চামচ মেথি। প্রত্যেকটি উপকরণকে ভালো করে শুকনো খোলায় ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে হবে। এরপর কড়াইতে সরষের তেল গরম করে তাতে শুকনো লঙ্কা পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, টমেটো বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে নুন, মিষ্টি স্বাদ মত দিয়ে আমচুর পাউডার দিয়ে টক, ঝাল আমের আচার দিয়ে দিতে হবে। এরপর করলাগুলিকে গোলগোল না লম্বা-লম্বা যেমন আপনার খুশি তেমন করে কেটে নিয়ে দিতে হবে। এরপর সামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে ঢাকা খুলে উপরে আচারের ভাজা মশলা দিয়ে বেশ ভালো করে নাড়িয়ে চাড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন আচারি করলা।