Lifestyle: শুধুমাত্র চুল ও ত্বকের যত্নে নয়, নানান উপকারী গুন রয়েছে নারকেল তেলে
দীপাবলি প্রদীপ জ্বলিয়েই শীতকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলা। আর উত্তরের ঠান্ডা হাওয়ার স্রোত যেন সিংহভাগ বাঙালির জন্য বয়ে আনে খুশকি, শুষ্ক ত্বকের মতো নানান সমস্যা। তবে এইসব চুল ও ত্বকের সমস্যার সমস্যার সমাধানে যুগ যুগ ধরে বাঙালির ড্রেসিং টেবিলে ‘মহাঔষধি’ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে নারকেল তেল। তবে চুল ও ত্বকের পরিচর্যার পাশাপাশি নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে আরো নানান আশ্চর্য উপকারিতা।
(১) স্থূলতা কমাতে নারকেল তেল: খাবারের সঙ্গে নারকেল তেলের ব্যবহার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে সক্ষম। রিসার্চ বলছে, নারকেল তেলের মধ্যে বিপুল পরিমাণে রয়েছে ‘মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইডস’, যা এক ধরণের ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’। আর এই উপাদান শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। তাই স্থূলতা রোধে অব্যর্থ টোটকা হতে পারে বিশুদ্ধ নারকেল তেল।
(২) শরীরে এনার্জি প্রদানে নারকেল তেল: চকোলেট নয়, দ্রুত শরীরে ‘এনার্জি’ ফিরিয়ে আনতে নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে নারকেল তেলে থাকা ‘মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইডস’ খুব দ্রুত ভেঙে শরীরে ‘এনার্জি’ প্রদানে সক্ষম। তাই ‘এনার্জি ড্রিঙ্ক’-এর পরিবর্তে খাবার মেন্যুতে রাখতেই পারেন এই ঘরোয়া উপাদানকে।
(৩) রোগ প্রতিরোধে নারকেল তেল: শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধের আশ্চর্য ক্ষমতাও রয়েছে নারকেল তেলের মধ্যে। কারণ নারকেল তেলে উপস্থিত লাউরিক এসিড শরীরে আগত ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি রোধে সাহায্য করে। তাই রিসার্চ বলছে, খাবারের সঙ্গে নারকেল ব্যবহার করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
(৪) হৃদরোগ প্রতিরোধে নারকেল তেল: আমাদের অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে নারকেল তেল এই হৃদরোগ প্রতিরোধেও সক্ষম বলে জানাচ্ছে গবেষণা। গবেষকদের মতে, নারকেল তেলে অবস্থিত ‘মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইডস’ রক্তে ‘কিটন বডি’র পরিমান বৃদ্ধি করে হৃদরোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।
(৫) খিদে নিরাময়ে নারকেল তেল: নারকেল তেলের মধ্যে অবস্থিত ‘মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইডস’ শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে বারবার খিদে পাওয়ার সমস্যার সমাধানেও নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধরণ তথ্যের জন্য। এটি কোনও ওষুধ ও চিকিৎসার অঙ্গ নয়। আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।