Hoop NewsHoop Trending

Cyclone: টানা ১৪ ঘণ্টা চলবে তাণ্ডব, ‘আমফান’-এর থেকেও বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে বাংলায়

ঝঞ্ঝার জেরে একে অসাময়িক বৃষ্টিপাত, তার উপর এবার ধেয়ে আসতে চলেছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়। আমফানের থেকে বড়সড় কিছু। ভারতের উপকূল এলাকাগুলি উত্তাল হয়ে পড়বে একের পর এক  ঝড়ের প্রভাবে। এমনটাই আভাস দিয়েছিলেন আইআইটি খড়গপুরের বিজ্ঞানীরা ‘ক্লাইমেট ডায়নামিক্স স্প্রিংগার’ জার্নালে। এই ঝড়গুলির গতি বেগতি নিয়ে এক আলোচনায় ভয়ংকর ইঙ্গিত দিয়ে বসলেন ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর।

কুখ্যাত আমফানের তুলনায় কতটা বিধ্বংসী হবে এই ঝড়গুলি?
বিশেষজ্ঞ সুজীব করের ভাষায়, “আসন্ন ঝড়গুলির স্থায়িত্ব আমফানের তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে। আমফান স্থায়ী ছিল প্রায় ১২ ঘন্টা। আসন্ন ঝড়গুলি স্থায়ী হতে পারে প্রায় ১৪ ঘন্টার আশেপাশে। সাথে প্রবল শক্তিশালী হতে পারে ধেয়ে আসা আচমকা ঘূর্ণি।” এদিকে মার্চ, এপ্রিল, মে তৈরি হওয়া ঘূর্ণি বাংলাদেশ থেকে বাংলায় ধেয়ে এসে যে ভীষন চাপ সৃষ্টি করবে তা নিয়ে সত্যিই চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।

সাইক্লোন এলে তাপমাত্রার প্রভাব কেমন হতে পারে?
বিশেষজ্ঞ সুজীব করের ভাষায়, “এ বছরও মার্চ, এপ্রিল এবং মে এই তিন মাসে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরী হবে একাধিক সাইক্লোন। এর দরুন তাপমাত্রা প্রচুর বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমপ্রান্তের জেলাগুলোতে তো তাপমাত্রা বেড়ে প্রায় ৪৫-৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত দাঁড়াতে পারে।” বলা বাহুল্য, এর ফলে বিভিন্ন উচ্চচাপ জনিত রোগের সৃষ্টি হওয়ায় প্রবল আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।

এই উদ্ভট ঘূর্ণিবিপদ বার বার ফিরে ফিরে আসে কেন?
বিশেষজ্ঞ সুজীব করের ভাষায়, “বিশ্ব উষ্ণায়ন ধ্বংস করছে প্রকৃতিকে। বঙ্গোপসাগরের জল প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি গরম। প্রায় চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। প্রতি মুহূর্তে বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত পরিমাণ জলীয় বাষ্প তৈরি হচ্ছে। যা বায়ুমণ্ডলের ক্ষমতার বাইরে চলে এসে বায়ুমণ্ডলেই চাপ সৃষ্টি করছে। প্রসঙ্গত, কোনো সাগর বা মহাসাগর যাই হোক, যেখানেই এমন পরিস্থিতি আসবে সেখানেই তৈরি হবে এই বিধ্বংসী ঝড়।”

whatsapp logo