বিরিয়ানি খেতে আমরা প্রত্যেকেই ভীষণ ভালোবাসি। চিকেন বিরিয়ানি হোক কিংবা মটন বিরিয়ানি অথবা আলু বিরিয়ানি যে কোনো বিরিয়ানি খেতেই ভারতীয়রা কিন্তু বেশ পছন্দ করে। তারপর সামনেই আছে দুর্গা পুজো, দুর্গা পূজার সময় বাড়িতে কিংবা বাইরে বেরিয়ে একদিন বিরিয়ানি খাবে না, এমন বাঙালি কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা বাড়িতে যতই বিরিয়ানি রান্না করি না কিন্তু কেন দোকানের স্বাদের কিন্তু একেবারেই হয় না। কিন্তু কিভাবে বাড়িতেই একেবারে দোকানের মতন করে বিরিয়ানি রান্না করবেন দেখে নিন তার এক ঝলক।
একবার এইভাবে করেই দেখুন, তাহলেই দেখবেন বাইরের বিরিয়ানি আর খেতে হবে না, এছাড়া বাইরের বিরিয়ানি বা বাইরের যে কোন খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই উপযুক্ত নয়, তাই বাড়িতে যদি ওই একই ভাবে বানিয়ে ফেলতে পারেন তাহলে ক্ষতি কি আর দেরি না করে দেখে নিন অসাধারণ টিপস।
১) প্রথমত মশলা কোনভাবেই দোকান থেকে কিনে আনবেন না বিরিয়ানিতে যে মশলা তৈরি করা হয়, সেই মশলাকে যদি বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন, তাহলে দেখবেন বিরিয়ানির স্বাদও কিন্তু অনেকটাই ভালো হয়েছে।
২) বিরিয়ানি করার সময় অবশ্যই উপযুক্ত পরিমাণে ঘি দিতে হবে। না হলে কিন্তু বিরিয়ানির স্বাদ ভালো হবে না, সেক্ষেত্রে যদি মাটন বিরিয়ানি করেন, তাহলে মাটন যতটা নেবেন তার কিছুটা অংশ আলাদা করে চর্বি নেবেন, এই চর্বি গলে গিয়ে বিরিয়ানি স্বাদ বেড়ে যাবে।
৩) বিরিয়ানির ক্ষেত্রে যেটা মূল উপাদান সেটি হল ভাত। ভাত যদি গলে যায়, তাহলে কিন্তু বিরিয়ানির স্বাদ একেবারে বদলে খারাপ হয়ে যাবে। তাই ভাতকে অর্ধেকটা সেদ্ধ করে তবেই বিরিয়ানির মধ্যে দিন, সেখানেই বাকিটা সেদ্ধ হয়ে যাবে। পুরো সেদ্ধ হওয়া চাল যদি বিরিয়ানিতে দেন, তাহলে কিন্তু গলে একেবারে পাঁক হয়ে যাবে।
৪) মাংস রান্না করার সময় দই দিয়ে ভালো করে ম্যারিনেট করে রাখবেন, তাহলে দেখবেন মাংস সুসিদ্ধ হবে, এছাড়া বিরিয়ানিতে দেওয়া আলু যেন সুসিদ্ধ হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আলুর ভেতরে যেন পরিমাণ মতো নুন ঢোকে সেদিকেও আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
৫) এর থেকেও যে বিষয়টির দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, যে পাত্রটাতে আপনি বিরিয়ানিটি দমে বসাচ্ছেন। সেই পাত্রের নিচ যদি খুব বেশি পাতলা হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু নিচের অংশ পুড়ে যাবে, তাই একটু মোটা পাত্রের মধ্যে বিরিয়ানি রান্না করতে বসান।