আগেকার দিনে রাজ রাজাদের দেহরক্ষী ছিল। তারা বেশ রাজার পিছন পিছন চলত, যখনই কোনো বিপদের গন্ধ পেত তখনই সজাগ হয়ে রাজকে বাঁচানোর চেষ্টা করত। প্রধান সেনাপতি যিনি হতেন তিনিই ছিলেন রাজার দেহরক্ষী। আমরা দ্বাররক্ষীদের দেখেছি, ওরা দরজা আগলে দাড়িয়ে থাকে। একটা মাছি যাতে গলতে না পারে তার জন্য সর্বদা চোখ কান খোলা রাখে। এখন আর রাজা, সেনাপতি এসব নেই, তবে ওই ধরনের পরিবেশ ও পজিশন আছে।
ছোটবেলায় একটা শিশুর দেহরক্ষী থাকে তার মা ও বাবা। বড় হয়ে একটি মেয়ের দেহরক্ষী হয়ে যায় তার ভাই বা দাদা কিংবা স্বামী।সুতরাং এই কনসেপ্ট প্রথম থেকেই চলছে। আর এই দেহরক্ষী বা বডিগার্ড বিষয়টি বেশি দেখা যায় অভিন়শিল্পীদের মধ্যে।
বলিউডের প্রায় প্রত্যেক অভিনেতার নিজস্ব বডিগার্ড রয়েছে। তাদের যেমন পি আর টিম থাকে, তেমনই থাকে পার্সোনাল বডিগার্ড, যে সর্বক্ষণ ওই অভিনেতার ছায়া সঙ্গী হয়ে থাকে। আজকের কাহিনী বলিউডের কিং খান শাহরুখের বডিগার্ড নিয়ে। তিনি বলিউড বাদশা বলে কথা। তার নিরাপত্তার বিষয়টিও হওয়া চাই তেমন জোরদার। শাহরুখ খানের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেখভাল করেন তেমনই একজন, রবি সিংহ।
এই রবি সিংহ শুধু কিং খানের জন্য কাজ করেছেন এমনটা নয়, ভারতে কোনও আন্তর্জাতিক তারকা এলে ডাক পড়ে রবি’র। প্যারিস হিলটনসহ অনেক সেলিব্রিটির দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। শাহরুখের রাস্তায় ফেলে দেওয়া সিগারেট পর্যন্ত নিজের হাতে তুলে ডাস্টবিনে ফেলে দেন এই দীর্ঘাঙ্গী সুদর্শন দেহরক্ষী। অনুরাগীদের হাত থেকে বাদশাকে প্রতিনিয়ত রক্ষা করে চলেন এই রবি। জানেন তিনি কত টাকা বেতন পান? কিং খান বলে কথা , আর তাই একমাত্র তিনি সব থেকে বেশি টাকা দেন তার দেহরক্ষী রবিকে। এই রবির বাৎসরিক আয় ২.৫ কোটি টাকার উপরে। অন্যান্য তারকারা যেমন সালমান তার দেহরক্ষী শেরাকে দেন বছরে ২ কোটি টাকা, সেখানে কিং খান এক ধাপ এগিয়ে চলেন বৈকি। শুধু যে বিরাট অঙ্কের টাকা দেন তিনি এমনটা নয়, যে কোনো অনুষ্ঠানে রবি হলেন কিং খানের ছায়াসঙ্গী।