দেশের কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের অধীনস্থ একাধিক সেক্টরে লক্ষাধিক কর্মী নিযুক্ত আছেন। আর সরকার সেক্টর অনুযায়ী বেতনের পাশাপাশি আরো একাধিক ভাতা প্রদান করে থাকে কর্মীদের। আর সেইসব ভাতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মহার্ঘভাতা বা DA। কেন্দ্রের বেতন কমিশন অনুযায়ী এই ভাতা পরিবর্তিত হয়। আর কেন্দ্রের দেখানো এই পথেই দেশের সমস্ত রাজ্যও হাঁটে। অর্থাৎ কেন্দ্র সরকারের মতোই একইভাবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA পরিবর্তন করে দেশের রাজ্যগুলি। পশ্চিমবঙ্গেও চালু রয়েছে এমন ব্যবস্থা।
তবে মহার্ঘভাতা ছাড়াও রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের আরো বিভিন্ন ধরণের এলাউন্স প্রদান করে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বোনাস প্রদান ব্যবস্থা। কেন্দ্র সরকারের অধীনস্থ ভারতীয় রেলের কর্মীরা বছরে একবারই এই বোনাস পেয়ে থাকেন। হিন্দুদের ক্ষেত্রে দুর্গাপূজার আগে এই বোনাস দেওয়া হয়। অর্থাৎ উৎসবের মাস অক্টোবরে এই বোনাস দেওয়া হয় রেলের কর্মীদের। ৭৮ দিনের কাজের বেতন তাদের দেওয়া হয় বোনাস হিসেবে। তবে এবার সেই বোনাস নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল রেলকর্মীদের এক সংগঠন।
সম্প্রতি, উৎসবের মরশুম শুরুর মুখেই ‘প্রোডাক্টিভিটি-লিঙ্কড বোনাস’ বাড়ানোর দাবি তুললেন ‘ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’-এর সদস্যরা। তাদের দাবি এটাই যে বর্তমানে সরকার রেল কর্মীদের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মাধ্যমে বোনাস দিয়ে থাকে। সেই কারণে রেলকর্মীদের বোনাসের নূন্যতম সীমাটাও অনেকটাই কম। তাই এবার নূন্যতম বেতন বাড়িয়ে নূন্যতম বোনাসের পরিমান বাড়ানোর দাবি তুলল রেলকর্মীদের এই সংগঠন।
প্রসঙ্গত, বেতনের নিরিখে দেখলে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে যেসব ভারতীয় রেলের কর্মী বেতন পেয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে গ্রুপ ‘ডি’ কর্মচারীদের বেসিক পে ৬,০০০ টাকা। আর এবার সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় থাকা কর্মীদের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৮,০০০ টাকা। যদিও এই বিষয়ে আন্দোলনরত রেলকর্মীদের এই ফেডারেশনের দাবি, রেলের গ্রুপ ‘সি’ এবং ‘ডি’-র কর্মীরা যেখানে মাত্র ১৭,৯৫১ টাকা বোনাস পান, সেখানে তাদের আরো বেশি টাকা পাওয়া উচিত।