Pallavi Dey: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে হুবহু মিল, পল্লবীর ঘর থেকে উদ্ধার হলো গাঁজা
পল্লবীর মৃত্যু সুশান্ত সিং রাজপুতের কথা আরো একবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। সুশান্ত সিং রাজপুতকে পাওয়া যায় তারই ঘরে মৃত অবস্থায়, গলায় ফাঁস। প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে লিভ ইন, সম্পর্কে জটিলতা, টাকা পয়সার তছরুপ, এবং সর্বশেষ গাঁজা ও নেশার দ্রব্য।
ঠিক একই জিনিস ঘটে গেল টেলি পাড়ায়। পল্লবী নিজেও একজন স্ট্রাগলার। স্ট্রাগল করেই বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে কাজ করতেন। বয় ফ্রেন্ডকে স্বামী পরিচয় দিয়ে লিভ ইন করতেন। প্রসঙ্গত, বর্তমান সময়ে লিভ ইন হল অনৈতিক বিয়ে। এককথায়, বিয়ে না করেও স্বামী স্ত্রী স্টাইলে বসবাস করা একই ছাদের তলায়। শেষে বনিবনা না হলে ডিভোর্স, এবং এতে খরচা নেই, উকিল আদালত নেই। তবে আছে মৃত্যুর মত ভয়ঙ্কর ফাঁদ। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছিলেন পল্লবী দে।
পুলিশি তদন্তের মুখে পল্লবীর অলিখিত স্বামী সাগ্নিক চক্রবর্তী। তার কথায় তাদের মধ্যে বচসা হয়েছিল মৃত্যুর আগে। এদিকে এই চাঞ্চল্যকর মৃত্যু ঘিরে উঠে আসছে বেশ কিছু রহস্যজনক বিষয়।
পল্লবী শেষ ফোন করেছিল তার বাড়ির পরিচারিকাকে। যদিও, তাঁদের মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছিল, তা জানা যায়নি। এই পরিচারিকাকে ঠিক করে দিয়েছিলেন পল্লবীর মাসি। এবং এই পরিচারিকা পল্লবীর মাসিকে বহুবার ফোন করে জানান যে দাদা বৌদি খুব ঝগড়া করে। তাহলে কি সম্পর্কের টানাপোড়েনে মৃত্যু বাছলেন পল্লবী? নাহ্, গল্প এখানেই শেষ নয়। পুলিশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে গাঁজা পল্লবী ও সাগ্নিক এর ঘর থেকে। কে খেত গাঁজা? নিশ্চয় বাইরের কেউ এসে গাঁজা খেয়ে যেত না। এদিকে পল্লবীর বাড়ির লোক দাবি করছে এটা একপ্রকার খুন। সাগ্নিক নাকি অর্থ সাহায্য নিত পল্লবীর থেকে। এমনকি দু’জনের নামের ফিক্সড ডিপোজিটও পাওয়া গিয়েছে। তাহলে, সুশান্ত রিয়ার গল্পের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে তো পল্লবী সাগ্নিক চক্রবর্তীর?