স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় মানে যেন এক বিতর্কিত চরিত্র। মাঝেমধ্যেই তিনি খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। প্রকৃতপক্ষে ইন্ডাস্ট্রির ছক ভাঙ্গা মেয়ে বলতে যাকে বোঝায়, তিনি হলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। আঠারো বছর বয়সে ‘হেমন্তের পাখি’ ফিল্মে একটি ছোট চরিত্র করে তিনি সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন। অনেক ছোট বয়সেই বয়সে অনেকটাই বড় প্রমিত সেনের সঙ্গে বিয়ে হয়, বিখ্যাত গায়ক সাগর সেনের পুত্র প্রমিত সেন।
কিন্তু বিয়ের পর অনেক শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হন অভিনেত্রী, তারপরে সেই বিয়ে আর টেকেনি, তারপরে মেয়েকে নিয়ে একাই মানুষ করছেন স্বস্তিকা। অভিনয় এবং মাতৃত্বকে সমান তালে চালিয়ে গেছেন এই সুন্দরী অভিনেত্রী। ‘মস্তান’ সিনেমাতে জিতের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে তিনি অভিনয় করেছিলেন, তারপর থেকেই জিত আর স্বস্তিকার সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। তবে কিছুদিন পরে সেই সম্পর্কের ইতি টেনে আবারো ‘ব্রেকফেল’ ফিল্মের শুটিং এর সময় পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যান। তারপর এই শ্রীজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
কয়েকদিন হল কলকাতার পারদ নেমেছে, চারিদিকে তাপপ্রবাহ বন্ধ হয়ে একেবারে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। কি ভাবছেন উত্তাপ বাড়ানোর ক্ষেত্রে তো স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের একটা ভূমিকা থাকেই, কারণ তার এমন রূপের ছটায় রীতিমতন চারিদিকে আগুন লেগে যায় কিন্তু বৃষ্টির সঙ্গে তার কি সম্পর্ক? এমন ঝমঝমে বৃষ্টির মধ্যেই একটা পুলের ধারে সুইম সুইট করে ধরা দিলেন আমাদের সকলের প্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। বিকিনি পরে ফর্সা শরীরে তার এই অসাধারণ ছবিটি রীতিমতন সকলের মনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, তবে সমালোচনা অনেক পাত্তা দেননি অভিনেত্রী। ক্যাপশন দেখে বোঝা যাচ্ছে, উড়িষ্যার কোন রিসর্ট এ এই সুইমিংপুলে পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন তিনি।
গাছের তলায় ছায়ায় দাঁড়িয়ে ছবি তোলার পরেই তিনি আর একটি ছবি সাথে সাথে শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে জলের মধ্যে ডুবে একেবারে ভিজে স্নান করে গেছেন। গলায় সাদা মুক্তোর মালা, নাকে নাক ছাবি আর শরীরের বেশিরভাগটাই জলের তলায়, ক্যাপশনে লেখা, সৃজিত মুখার্জীর লেখা কয়েকটা লাইন। কমেন্টে ভালো মন্তব্যের পাশাপাশি নেতিবাচক মন্তব্যে হচ্ছে গেছেন কিন্তু সেসব বক্তব্যকে কোনদিনই খুব একটা পাত্তা দেন না, এই সাহসী অভিনেত্রী, আপনার যদি দুটি ছবি দেখতেই নিশ্চয়ই থাকে তাহলে চটপট একবার দেখে নিন।