Hoop PlusTollywood

উত্তম থেকে অমিতাভ সর্বত্রই তার অবাধ বিচরণ, অভিনয়গুণে আজও স্মরণীয় সুমিতা সান্যাল

স্বর্ণযুগের বহু তারকা আছেন যারা আমাদের মধ্যে স্ব শরীরে না থাকলেও স্মরণে রয়েছেন। সাদা কালো যুগ এখন নেই, এখনকার পর্দা রঙ্গিন হয়েছে, কিন্তু সাদা কালো পর্দার সকল তারকাই মনের গভীরে রয়ে গেছে। সেরকম একজন তারকা হলেন সুমিতা সান্যাল।

১৯৪৫-এ দার্জিলিংয়ে জন্ম হয় সুমিতার। বাবা গিরিজা গোলকুন্ডা সান্যাল মেয়ের নাম রেখেছিলেন মঞ্জুলা। কিন্তু যেদিন তিনি ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’-এ অভিনয় করা শুরু করেন সেদিন থেকে তার নামকরণ হয় সুচরিতা।পরিচালক বিভূতি লাহার পরিচালনায় ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’-এ অভিনয় করতে যাওয়ার পর তিনি মঞ্জুলার নাম বদলে রাখেন সুচরিতা। পরবর্তীতে অবশ্য সেই নাম পরিবর্তন হয়, এরপর তিনি হয়ে ওঠেন সুমিতা। পরিচালক কনক মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে এই নামকরণ হয় তার।

প্রায় ৪০টির বেশি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সুমিতা। উত্তম কুমারের সঙ্গে প্রথম করেন ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’। এমনকি ‘নায়ক’-এ উত্তমকুমারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেন তিনি। এছাড়াও তার জীবনে বিশেষ উল্লেখযোগ্য সিনেমা হল ‘কুহেলি’। হ্যাঁ, তিনিই সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’, হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘আনন্দ’, এবং তরুণ মজুমদারের ‘কুহেলি’-তে অভিনয় করে গেছেন।

এছাড়াও ‘নতুন জীবন’ ‘নায়ক’ ‘সাগিনা মাহাতো’, ‘আপনজন’, ‘কাল তুমি আলেয়া’ ছাড়াও হিন্দিতে ‘গুড্ডি’, ‘আনন্দ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

শেষে, দেশপ্রিয় পার্কের বাড়িতে তাঁর জীবনাবসান হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

Related Articles