পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একদা বলেছিলেন, “মদন একটু রঙিন ছেলে”। একদম সঠিক বলেছিলেন তিনি। দল বদলের পালায় মদন মিত্র (Madan Mitra)-র রাজনৈতিক রঙ এক থাকলেও ফেসবুকে প্রায় রোজ তাঁর রঙিন অবতার দেখা যায়। ইন্সটাগ্রামে তো মদনবাবুর হেঁটে আসার রিল ভর্তি! তবে তাঁর স্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ঘুড়ির লাটাই তাঁর হাতেই। তা এহেন মদন মিত্রর বায়োপিকে অভিনয় করতে নাকি প্রতিদিন মানে ‘এভরিডে’ এক থেকে দেড় হাজার মহিলা ছবি জমা দিচ্ছেন। অন্তত বায়োপিকের পরিচালক রাজর্ষি দে (Rajarshi Dey) এমনটাই জানালেন।
বিগত দুই দিন ধরে মদনবাবুর নারী পরিবেষ্টিত হয়ে হুকা টানার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কামারহাটির বিধায়কের বক্তব্য, তাঁর ছবি সুপার ইম্পোজ করা হয়েছে। মদনবাবু সব কিছু নিয়েই ফেসবুকে লাইভ করেন। এই ঘটনাও বাদ যায়নি। সোমবার একটি ফেসবুক লাইভে এসে মদনবাবু জানিয়েছেন, ইন্সটাগ্রামে তাঁর আটষট্টি শতাংশ ফলোয়ার আঠারো থেকে পঁচিশ বছর বয়সী মহিলারা। দিনে এক থেকে দেড় হাজার মহিলা তাঁর সাথে সেলফি তুলতে চান। ওহ! লাভলি। এবার রাজর্ষি জানালেন, মদন মিত্রের বায়োপিকে কাজ করতে চেয়ে দিনে অন্তত দেড় হাজার মহিলা তাঁকে ছবি পাঠাচ্ছেন।
View this post on Instagram
এঁদের মধ্যে কেউ তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ কারো চরিত্রে অভিনয় করতে চাইছেন, কেউ আবার তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করতে চাইছেন! কেউ তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করার আশা রাখছেন! এমতাবস্থায় রাজর্ষির নিজের মেমরি ও কম্পিউটারের মেমরি দুটিই হ্যাং হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। রাজর্ষি জানিয়েছেন, মদনদার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর তরফেও আউটডোর শুটিংয়ের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাজর্ষি বলেছেন, খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে মদন মিত্রের বায়োপিকের শুটিং।
মদনবাবু নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর জীবনের ওঠা-পড়া, রাজনৈতিক কর্মকান্ড সবই তুলে ধরা হবে তাঁর বায়োপিকে। বায়োপিকে তাঁর স্ত্রীর চরিত্র থাকলেও, নায়িকা থাকবেন অনেক। শুধু এটাই বলার বাকি ছিল। এরপর থেকেই নায়িকার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ছবি জমা পড়তে শুরু করেছে। সত্যিই, রাজর্ষি যদি না বলতেন, তাহলে জানাই ছিল না পশ্চিমবঙ্গে এত মহিলা ও সর্বোপরি অভিনেত্রী রয়েছেন। গোটা পৃথিবী জুড়ে কন্যা ভ্রূণ হত্যার ফলে পুরুষের সংখ্যা বেশি, মহিলাদের সংখ্যা কম। রাজর্ষি যা দাবি করলেন, তাহলে তো বলা যায়, পরিস্থিতি বদলে গেছে। নাহলে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার মহিলার ছবি যদি জমা পড়ে, তাহলে মাসের শেষে মহিলাদের সংখ্যা নেহাত মন্দ নয়! মদন মিত্রের বায়োপিক তাহলে শুটিং শুরু হওয়ার আগেই ইতিহাস বদলে দিল! ওহ, লাভলি!