Hoop News

Ration Rule: রেশনের নিয়মে বড় পরিবর্তন আনছে সরকার, গ্রাহকদের উপর পড়তে পারে প্রভাব!

স্বাধীনতার পর ভারতে একাধিকবার দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আর তখন থেকে দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে যুগান্তকারী রেশন ব্যবস্থার সূচনা ঘটে দেশেও। আর এখনো অবধি ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক নাগরিক মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। রেশন কার্ড থাকলে সেই কার্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন দোকান থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের ধরণের উপর।

তবে এই রেশন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে বিগত সময়ে দেশব্যাপী ছোটখাটো অনেক দুর্নীতি হয়েছে। বর্তমানেও এমন সব দুর্নীতি হয়ে চলেছে রিণ ব্যবস্থায়। তবে এইসব দুর্নীতিতে লাগাম টানতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। কেন্দ্র সরকার এর আগেও রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে একাধিক নিয়ম যেমন লাগু করেছে, তেমনই আবার কোনো কোনো নিয়মে কড়াকড়ি ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে। তবে এবার জারি হওয়া এমন একটি নিয়মকে কেন্দ্র করেই কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাত শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি, কেন্দ্রের তরফে রেশন গ্রাহকদের রেশন নেওয়ার জন্য বায়োমেট্রিক দেওয়ার পাশাপাশি রেশনের স্লিপ ব্যবহারের নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। আর কেন্দ্র সরকার নির্দেশ দিয়েছে যে এই ধরণের স্লিপে কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম ও লোগো ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে মোদি সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে স্লিপের ওপর গরিব কল্যাণ যোজনার নাম এবং লোগো ব্যবহার করতে হবে রাজ্যে। আর এই বিষয়টি নিয়ে এখন চূড়ান্ত তৎপরতা চলছে রাজ্যে। তবে এই বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত কিন্তু নেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেনি রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে এক্ষেত্রে রাজ্যের প্রকল্প ‘খাদ্যসাথী’র নাম ও লোগো ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে রেশন স্লিপের উপর অধিকার নিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভ্রাট। উল্লেখ্য, বর্তমানে রেশন গ্রাহকরা বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন PMGKY প্রকল্পের আওতায়। তবে এই বিষয়ে রাজ্যের দাবি, কেন্দ্র বিনামূল্য রেশন দিলেও তার তার পরিবহন, ডিস্ট্রিবিউশন ও ডিলারদের যাবতীয় খরচা বহন করে রাজ্য সরকার। তাই এক্ষেত্রে রাজ্যের অধিকার বেশি। মোটের উপর এই নিয়ে সংঘাত এখন তুঙ্গে।

Related Articles