পুরুষদের থেকে মহিলাদের এই জিনিস আট গুন বেশি থাকে, লজ্জায় প্রকাশ করতে পারে না মেয়েরা
আমরা জানি যে আমাদের দেশ মহান এবং বহু প্রতিভাবান মানুষ এই দেশে জন্মেছেন। তারা বেঁচে না থাকলেও তাদের কাজ, বাণী, কলা এখনও বেঁচে আছে। সেরকমই একজন প্রতিভাবান মানুষ হলেন চাণক্য। কৌটিল্য বা চাণক্য বা চানক্যসেন বিষ্ণুগুপ্ত হলেন একজন প্রাচীন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক ও রাজ-উপদেষ্টা। তিনি সংস্কৃতিতে অনেক উক্তি করে গিয়েছেন, বই লিখেছেন যা আজও সমাদৃত। আজও তাঁর বই সংস্কৃত থেকে ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি ও অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। এখনও তাঁর লেখা অর্থশাস্ত্র বিশ্বের দরবারে সমাদৃত। কিন্তু, জানেন কি এই বিশেষ মানুষটি স্ত্রী জাতিকে নিয়ে এক নিখুঁত মন্তব্য করেছেন যা যেকোনো নারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
“स्त्रीणां द्विगुण आहारो लज्जा चापि चतुर्गुणा । साहसं षड्गुणं चैव कामश्चाष्टगुणः स्मृतः ॥” .. এটা হল সংস্কৃত ভাষা। এবং এই ভাষাতে চাণক্য নারীদের প্রকৃতি নিয়ে কথা বলেছেন। এই উদ্ধৃতিটিকে বাংলায় করলে দাড়ায় নারীরা শক্তির অধিকারী। পুরুষদের সঙ্গে তুলনা করলে বেশ কিছু দিক দিয়ে নারীরা পুরুষদের থেকে কয়েক গুন এগিয়ে। চলুন সোজা সরল ভাষায় জেনে নিই চাণক্যের এই উদ্ধৃতিটি।
আচার্য চাণক্য বলেছেন যে একজন মহিলার ক্ষুধা বা খিদে পুরুষদের চেয়ে দ্বিগুণ হয়। অর্থাৎ, স্ত্রীরা পুরুষদের থেকে বেশি খাবার খেতে চান এবং পারেন। পুরুষের তুলনায় নারীদের লজ্জা চারগুন বেশি হয়। অর্থাৎ, মহিলারা লাজুক স্বভাবের হয়, পুরুষদের তুলনায়। মহিলারা লাজুক বেশি হলেও পুরুষদের তুলনায় ছয়গুণ বেশি সাহসী হন। যার উদাহরণ আমরা দেবী কালি ও দুর্গার মধ্যে পাই। আরেকটি ব্যাপার হল কাম বা সঙ্গমের ইচ্ছা। এর ক্ষেত্রেও পুরুষদের থেকে মহিলাদের সঙ্গমের ইচ্ছা আটগুন বেশি থাকে।
উপরের কথাগুলো পড়ে আপনার মনে হতে পারে কিছুটা ঠিক কিছুটা ভুল। কিন্তু, বেশিরভাগ নারীদের প্রকৃতি এমনটাই হয়। খিদে ও সাহস দুইই বেশি হয় নারীদের। অবশ্য আজকের মেয়েরা স্লিম ফিগার পাওয়ার জন্য খাবার খাওয়াতে অনেক পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু যতই ডায়েট মেইনটেইন করুক না কেন বেশি খাবার খাওয়ার প্রবৃত্তি মেয়েদের মধ্যে বেশি থাকে। সাহস বরাবর মেয়েদের বেশি, তাইবলে যদি কেউ আরশোলা দেখে ভয় পায় সেটা এর মধ্যে বিবেচ্য হচ্ছে না। একজন মেয়ে যেমন দুর্গা হতে পারে সে কালিও হতে পারে, সর্বোপরি সে একজন মা, সে জন্ম দেয়, লালন পালন করে। বাকি রইলো, কামইচ্ছা। এক্ষেত্রেও রিসার্চ বলছে পুরুষদের থেকে মেয়েদের শারীরিক সুখের চাহিদা বা শারীরিক উত্তেজনা বেশি থাকে, তবে এটা সকলে সরাসরি প্রকাশ করতে পারে না।