Hoop PlusTollywood

Chanchal Chowdhury: খেতে বসলে আজও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন চঞ্চল, গলায় জমে শৈশবের আক্ষেপ

মানুষ হিসেবে তিনি আদ্যোপান্ত মাছেভাতে বাঙালি। তবে অভিনয় জগতে তার খ্যাতি তাকে রুপোলি পর্দার জগতে যেন আলাদাই একটা জায়গা দিয়েছে। তিনি ওপার বাংলার চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Choudhury)। শুধু ওপার বাংলা নয়, অভিনয়ের শৈলীতে তিনি জয় করেছেন কাঁটাতারের বন্ধনও। কিন্তু যে মানুষটি এত খেতে ভালোবাসেন, তার গলাতেই উঠে এল আক্ষেপের সুর। কারণটা একটাই, প্রত্যন্ত এলাকা থেকে লাইম লাইটে আসার একটা লড়াইয়ের গল্প।

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর (Chanchal Choudhury) জীবনের গল্পটা শুরু হয় বাংলাদেশের (Bangladesh) পাবনার কামারহাট গ্রামে। বাবা সামান্য প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। এদিকে আট ভাইবোনের টানাটানির সংসার। তবে সেই আর্থিক টানাপোড়েনের মাঝে চঞ্চলের (Chanchal Choudhury) মা নমিতা দেবী ছিলেন তার লড়াইয়ের কান্ডারি। তাই হয়তো কলকাতা চলচিত্র উৎসবে এসে মায়ের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেতা। মা-কে ‘দুর্গা’রূপে ব্যাখ্যা করে চঞ্চল বলেন, “আমার মা স্বয়ং দুর্গা। তিনিই আমাদের সবাইকে খুব কষ্ট করে বড় করেছেন।” তাই হয়তো তার অভিনেতা হয়ে ওঠার গল্পের পিছনেও রয়ে গেছে তার মায়ের নিঃস্বার্থ অবদান। কথায় কথায় চঞ্চল তাই (Chanchal Choudhury) বলেই ফেললেন, “আমার মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানের জন্য যেমন ভালবাসা, অভিনয়ের প্রতিও ভালবাসাটা তেমনই”। তাই গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ (Moner Manush)-এ কাজ করার পর বাংলাদেশি ওয়েব সিরিজ় ‘কারাগার’ (Karagar)-এ তার অভিনয় মন জয় করে দর্শকদের।

তবে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Choudhury) মানুষ হিসেবে বেশ পেটুক। তিনি খেতে ভালোবাসেন। তার প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে মাছ, সব্জি, আলুভাজার মতো পদ। কিন্তু এই খাবারের কথা উঠতেই কিছুটা আক্ষেপ জমে অভিনেতার গলায়। তাই আক্ষেপের সুরেই তিনি বলেছেন, “যখন খাওয়ার ইচ্ছে ছিল, তখন খুব বেশি খাবার পাইনি। এখন সামর্থ হলেও বয়স বাড়ছে, অনেক কিছু খেতে চাইলেও খেতে পারি না।”

সব মিলিয়ে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Choudhury) যে একজন সাধারণ মানুষ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাই হয়তো এত খ্যাতির মাঝেও ‘আলুভাজা’র মতো সাধারণ পদেই তিনি খুশি। চঞ্চল যেমন ভোলেননি তার শৈশবকে, তেমনই ভোলেননি তার পরিবারকেও। সেই কারণেই আজও তার ফাঁকা সময় কেটে যায় পরিবারের সঙ্গেই।

whatsapp logo