জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jacqueline Fernandez) কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি কি অন্যায় করেছেন! কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় রোজই তাঁকে ট্রোলড হতে হয়। নেটিজেনরা জ্যাকলিনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগেই তাঁর কনফিউশন দূর করতে এগিয়ে এল ইডি। দূর্নীতির চার্জশিটে জুড়ে গেল জ্যাকলিনের নাম।
ইডির সন্দেহের তালিকায় আগে থেকেই ছিল জ্যাকলিনের নাম। এই কারণেই গত বছরের শেষের দিকে জ্যাকলিন যখন ছুটি কাটানোর জন্য ফ্লাইট ধরতে মুম্বই এয়ারপোর্টে পৌঁছান, তৎক্ষণাৎ তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এবার 215 কোটি টাকার তছরুপ মামলার চার্জশিটে যুক্ত হল জ্যাকলিনের নাম। জানা গিয়েছে, বুধবার এই অতিরিক্ত চার্জশিট ইডির তরফে জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandrashekhar)। জ্যাকলিনের সাথে সম্পর্ক ছিল সুকেশের। ইডির দাবি, জ্যাকলিন আগে থেকেই জানতেন, সুকেশ একজন তোলাবাজ। জ্যাকলিনকে সুকেশ বহু দামি উপহার, গাড়ি ইত্যাদি দিয়েছেন। সবকিছু জেনেই জ্যাকলিন সুকেশের তোলাবাজির টাকায় বিলাসবহুল জীবনযাত্রা নির্বাহ করতেন।
ইডি বেশ কয়েকবার জ্যাকলিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জেরার মুখে, জ্যাকলিন কবুল করেছেন, তিনি সুকেশের কাছ থেকে দামি উপহার নিয়েছিলেন। সুকেশের কাছ থেকে জ্যাকলিনের প্রাপ্ত উপহারের মূল্য দশ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে রয়েছে বহুমূল্য গাড়ি, বাহান্ন লক্ষ টাকা মূল্যের ঘোড়া, নয় লক্ষ টাকা মূল্যের পার্শিয়ান বিড়াল। এছাড়াও রয়েছে গুচি, শানেলের একাধিক ডিজাইনার ব্যাগ। গুচির জিমের পোশাক, লুই ভিত্তোঁর জুতো, দুই জোড়া হীরের ইয়ারিং, দামি পাথর বসানো ব্রেসলেট।
তবে জ্যাকলিন জানিয়েছেন তিনি সুকেশের তরফে উপহার পাওয়া মিনি কুপার গাড়িটি আবারও সুকেশকেই ফেরত দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত জ্যাকলিনের সাত কোটি টাকির উপর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।
View this post on Instagram