সময়টা ছিল নব্বইয়ের দশক। রিলিজ করল সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt) ও মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit Nene) অভিনীত ফিল্ম ‘খলনায়ক’। একই সাথে এই ফিল্ম জন্ম দিল প্রচুর বিতর্কের। এই ফিল্মের সেটেই গড়ে উঠেছিল মাধুরী ও সঞ্জয়ের সম্পর্ক। কিন্তু সেই বিতর্ক গৌণ হয়ে যায় ফিল্মের জনপ্রিয় গান ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’-এর কাছে। নব্বইয়ের দশকে এই গানের শব্দগুলি যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিলেও তৎকালীন সমাজ আধুনিকতার মোড়কে সাহস মেনে নেওয়ার মানসিকতা রাখত না। ফলে সমালোচনা শুরু হয়েছিল চারিদিকে। একই সাথে শুরু হয়েছিল রাজনীতিও। রাজনৈতিক সংগঠনগুলি একদিকে ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’-এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছিল। অপরদিকে এই গানের কারণেই ‘খলনায়ক’ হয়ে ওঠে মিউজিক্যাল হিট। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল এই ফিল্মের গানের এক কোটি ক্যাসেট।
View this post on Instagram
নব্বইয়ের দশকের অন্যতম মিউজিক শো ছিল ‘সুপারহিট মুকাবলা’। এই মিউজিক শোয়ের চার্টবাস্টারে শীর্ষে লাগাতার নিজের স্থান বজায় রেখেছিল ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’। কিন্তু ‘খলনায়ক’-এর সফলতা বা ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’-এর জনপ্রিয়তা আটকাতে পারেনি কোনো সমালোচনাকেই। ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’-এর স্রষ্টা ছিলেন আনন্দ বক্সী (Anand Bakshi) ও লক্ষ্মীকান্ত- পেয়ারেলাল (Laxmikant-pyarelal)। গানটি গেয়েছিলেন ইলা অরুণ (Ila Arun) ও অলকা ইয়াগনিক (Alka Yagnik)। বিতর্কের জেরে ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’ গানটি ব্যান করার চেষ্টা হয়েছিল। রাতারাতি ‘সুপারহিট মুকাবলা’-র চার্টবাস্টার থেকেও গানটি সরিয়ে দেওয়া হয়।
View this post on Instagram
কিন্তু তা মাত্র এক-দেড় সপ্তাহের জন্য সম্ভব হয়েছিল। জনপ্রিয়তার জেরে ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’-এর উপর থেকে ব্যান উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’ হয়ে উঠল আইকনিক। মাধুরীর নৃত্যশৈলীর পাশাপাশি নীনা গুপ্তা (Neena Gupta)-র অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। খলনায়কের চরিত্রে সঞ্জয়ের অভিনয় দক্ষতা অবাক করেছিল সকলকে।
বহু বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও সমান জনপ্রিয় ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তা অশালীন নয়, বরং সাহসী নৃত্যশৈলীর দক্ষ পরিচয়।
View this post on Instagram