শীঘ্রই আসছে করোনার টিকা, সবার প্রথমে কারা কিভাবে ভ্যাকসিন পাবেন রইলো বিস্তারিত
করোনা বছরের প্রথম থেকে সারা বিশ্বে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপরই করোনার সাথে লড়তে দিন রাত এক করে বিশ্বের নানা সংস্থার বিজ্ঞানি কাজ করে যাচ্ছেন। করোনার বিষ প্রতিষেধক টীকা তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। টীকা প্রস্তুতি চরমে। বাজারে এখনো করোনা টিকা না এলেও ইদুঁরের দৌঁড়ে শেষ ধাপে রয়েছে বহু সংস্থাই। কিন্তু ভারতের কোভ্যাক্সিন ও একটু অন্যদের থেকে এগিয়ে আছে। এই কারণে এই কঠিন অবস্থাতে কী ভাবে ভ্যাকসিন কাদের মধ্যে সরবরাহ করা যায়, তা নিয়ে একটি ব্লু প্রিন্ট সাজাচ্ছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রথমে সাধারণ মানুষকে করোনা টিকা পেতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। তবে আধারের সাহায্যেই দেখা হবে কারা কারা টিকা পেলেন। একটি লিস্ট করা হয়েছে যেখানে প্রথম দফায় কারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টিকা পাবেন। এখনও পর্যন্ত এমন চারটি গোষ্ঠী ভাগ করা হয়েছে, যাদের উপরে ভারতে তৈরি প্রথম কোভিড টিকা বিনামূল্যে প্রয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ প্রকল্প সুষ্ঠু ভাবে চালিত করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে টাস্ক ফোর্স নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কাজে ব্যবহার করা হবে বৈদ্যুতিন টিকা অনুসন্ধান ব্যবস্থা বা ‘ইভিন’।
১) এক কোটি পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মী: কোভ্যাক্সিন প্রথমে চিকিৎসক, নার্স ও আশা কর্মীদের দেওয়া হলেও এই দলে রয়েছেন এমবিবিএস পড়ুয়ারাও। তাঁদেরকেও বিনামূল্যে প্রতিষেধক দেওয়া হবে।
২) দুই কোটি প্রথম সারির কোভিড কর্মী: করোনার প্রাককাল থেকে এরা সাধারণ মানুষদের সাহায্য করছে। এই দলে রয়েছেন পুরকর্মী, পুলিশ কর্মী এবং সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীরা। এদেরকেও বিনামূল্যে প্রতিষেধক সরবাহ করা হবে।
৩) ২৬ কোটি পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিক: কোভিড সংক্রমণের ঝুকিবহুল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকার ফলে ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষদেরও বিনামূল্যে কোভিড টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
৪) এক কোটি বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ: এই দলে থাকছেন পঞ্চাশ বছরের কম বয়েসি পুরুষ ও মহিলা। যাঁদের দেহে পুরনো জটিল রোগ আগে থেকে বাসা বেঁধে রয়েছে।