Finance News

Cultivation Idea: এই গাছের চাষে বাম্পার লাভ, হাতে আসবে লাখ লাখ টাকা

করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই দেশে দেখা দিয়েছে চাকরির আকাল। গত কয়েকবছরে দেশের বেকারত্বের পরিমান বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এর মাঝে চাকরি মিললেও সে অর্থে বেতন পাচ্ছেন না অনেকেই। বলা যায়, দৈনিক সর্বনিম্ন বেতনের থেকে কম পরিমানে বেতন পেয়ে চাকরি করছেন দেশের বহু যুবক-যুবতী। তাই এখন চাকরির পাশাপাশি দ্বিতীয় কোনো রোজগারের পথ খুঁজতে উদ্যোগী হচ্ছেন কমবেশি সকলেই। আর এক্ষেত্রে ছোটখাটো ব্যবসা বা চাষাবাদ করার কথা ভাবছেন অনেকেই।

ভারতের আয়ুর্বেদ শাস্ত্র এখন গোটা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে ভারতে চিকিৎসা হয়। কনেকেই আবার ভেষজ উদ্ভিদের পাতা বা ফল খেয়ে বাড়িতেই রোগ সরিয়ে নেন। তাই বাড়িতে ভেষজ কিছু উদ্ভিদের চাষ করা খুবই লাভজনক হতে পারে। তুলসী হল ভারতের একটি সর্বাধিক প্রচলিত ভেষজ গাছ। সেই কারণে এই তুলসী গাছের পাতার চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তাই এই গাছ চাষ করতে পারলে ভালোরকম রোজগারের সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা।

তুলসী পাতা দিয়ে হিন্দুধর্মে পুজো করা হয়। এই গাছের নানা উপাচারে নানা লাভজনক ফললাভের বিধান দেওয়া রয়েছে হিন্দুশাস্ত্রে। এছাড়াও তুলসী গাছের পাতা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। পাশাপাশি তুলসী গাছের পাতা থেকে অনেক ওষুধও তৈরি হয়। মূলত সর্দি ও কাশির সিরাপ তৈরিতে তুলসী পাতার রস ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও তুলসী পাতার থেকে স্মৃতিবর্দ্ধক ওষুধও তৈরি করা হয়। তাই ওষুধ শিল্পে এই পাতার চাহিদা রয়েছে। তাই সঠিক বিক্রয়স্থল মিললে এই গাছের চাষ লাভজনক হতে পারে।

এবার এই ধরণের চাষ করার জন্য সরকার আপনাকে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে তুলসী গাছের চাষের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন লোন হিসেবে পেয়ে যাবেন সহজেই। এছাড়াও নানা সরকারি কৃষি দফতরে এইসব চাষের জন্য বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। তাই এই প্রশিক্ষণ নিয়ে চাষ শুরু করতে পারেন। তবে চাষ শুরুর ১০০ দিন পরেই গাছের পাতা তুলে বিক্রি করা যাবে।

Related Articles