Cyclone: কালবৈশাখীর শেষে ফের ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা হাওয়া অফিসের
আমফান বা ইয়াসের তাণ্ডব মানুষ এখনও ভোলেনি। এখনও সেই ধ্বংসের স্মৃতি তাজা। মানুষ যেভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছে তাতে করে আরো একবার সাইক্লোনের খবর সত্যি আশঙ্কাজনক। সম্প্রতি, India Meteorological Department থেকে জানা যায় এমন খবর যেখানে মানুষ আরো একবার চিন্তার মুখোমুখি হতে পারে। IMD ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, ”মে মাসে সাধারণত যখন বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়, তখন তা ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও পূর্বাভাস নেই।” তিনি আরও বলেছেন, ”সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়, অর্থাৎ, মার্চ-এপ্রিল-মে। আরেকটা বর্ষার পর, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে মাসে ও নভেম্বরের মধ্যে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা গোটা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত নজর রাখছি।”
সদ্য কালবৈশাখীর দেখা পেয়েছে মানুষ। রাজ্যবাসী যখন গ্রীষ্মের দাবদাহে জ্বলছে, সূর্যের তাপে তৃষ্ণার্ত, ঠিক সেই সময় কালবৈশাখী ধরা দেয়। গত শনিবার থেকেই গোটা রাজ্যে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত ঝড়, বৃষ্টি হয়েছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত এই ঝড় বৃষ্টি চলবে। তাতে করে অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলছে। পাশাপাশি, মালদা, কোচবিহার ও উত্তরবঙ্গে চলছে হালকা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম,বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৪ তারিখ পর্যন্ত।
তাহলে কি সাইক্লোন আসছে? বৃষ্টির শেষে কি ফের নতুন কোনো ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে? এই ব্যাপারে প্রথমেই বলে হয়েছে যে স্পষ্ট করে কোনো খবর না থাকলেও সাগরের গতিবিধি অনুযায়ী খুব তাড়াতাড়ি কোনো ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। কারণ, সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, ফলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।