Bengali SerialHoop Plus

Debadrita Basu: ‘আমার ৬ বার হয়ে গিয়েছে’, রাহুলের সঙ্গে প্রেম জীবন নিয়ে অকপট দেবাদৃতা

দিদির জায়গায় কনে সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বোন। সম্প্রতি এমনি গল্প দেখা গিয়েছে ‘মিঠিঝোরা’ সিরিয়ালে। বড় দিদি রাই পরিস্থিতির শিকার হয়ে তার জায়গায় বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেয় বোন নীলুকে। এই ঘটনাই বদলে দেয় দুজনের জীবন। সিরিয়ালে নীলু ওরফে নীলাঞ্জনার ভূমিকায় অভিনয় করছেন দেবাদৃতা বসু (Debadrita Basu)। অনস্ক্রিনে বিয়ে হয়ে গেলেও বাস্তব জীবনে কিন্তু এখনো অবিবাহিতা তিনি। যদিও প্রেম করছেন চুটিয়ে। অভিনেতা রাহুল দেব বোসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা সকলেই জানেন।

সম্প্রতি ‘মিঠিঝোরা’র পরিবারের সঙ্গে দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এসেছিলেন দেবাদৃতা। সেখানেই নিজের প্রেম জীবন নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে তারকারা আসবেন আর সেখানে বিয়ে নিয়ে কথা উঠবে না, তা হতেই পারে না। এদিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি দেবাদৃতাকে প্রশ্ন করেন, বিয়ে কবে করছেন তিনি? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, এখনো ভাবনাচিন্তা করেননি তিনি। সেটা অবশ্য কাজের জন্য নয়। সেটেল হয়েও কাজ করতে পারবেন। তবে সেটেল হওয়ার পর আরও কিছু ভাবনা চিন্তা রয়েছে তাঁর।

মাঝখান থেকে রচনা ফোরণ কাটেন, তাছাড়া সিরিয়ালে এতবার হয়ে গিয়েছে। শুনে হেসেই ফেলেন দেবাদৃতা। সম্মতি জানিয়ে বলেন, সত্যিই সিরিয়ালে তাঁর ৬ বার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এখন তো তিনি নিজে দাঁড়িয়ে অন্যের বিয়েও দিতে পারবেন। পরপর সব স্টেট মুখস্থ হয়ে গিয়েছে তাঁর।

প্রসঙ্গত, অভিনেতা রাহুল দেব বোসের সঙ্গে তাঁর প্রেমটা এখন ওপেন সিক্রেট। এক বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই কাছাকাছি আসেন তাঁরা। নিজের সিরিয়ালের ভিলেনকেই মন দিয়ে বসেন দেবাদৃতা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও দুজনের অনেক ছবি রয়েছে। যুগলে ছবি শেয়ার করে নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন তাঁরা। জি বাংলার ‘জয়ী’ ধারাবাহিকের হাত ধরে ছোটপর্দায় পা রাখেন তিনি। সিরিয়ালটি প্রথম বারেই দেবাদৃতাকে লাইমলাইটে নিয়ে আসে। আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বেশ কয়েক বছর পর আবারো ‘আলো ছায়া’ সিরিয়ালে আলো চরিত্রে দর্শকদের মন জয় করেন তিনি। হিট হয়েছিল সেই ধারাবাহিকটিও। তবে চ্যানেল বদলে ‘শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত মীরা’ এবং তারপর ‘আলোর ঠিকানা’তে অভিনয় করলেও ওই দুটি ধারাবাহিক তেমন ভাবে দাগ কাটতে পারেনি দর্শক মনে।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই