শুটিংয়ের সময় হোটেলে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা!
দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায় (Debchandrima Sinha Roy) বর্তমানে একাধিক ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট ও নিজের ইউটিউব ভ্লগ নিয়ে ব্যস্ত। পাশাপাশি জিৎ (Jeet) প্রযোজিত ও অভিনীত ফিল্ম ‘ব্যুমেরাং’-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। দেবচন্দ্রিমা অভিনীত ধারাবাহিক ‘সাহেবের চিঠি’ কয়েক মাস হল অফ এয়ার হয়ে গিয়েছে। তবে এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের সময় একটি ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা এখনও ভুলতে পারেননি কাহিনীর ‘চিঠি’ ওরফে দেবচন্দ্রিমা।
কলকাতার হোটেল ওয়েস্টিনে ধারাবাহিকের একটি দৃশ্যের শুটিং চলছিল। শুটিং চলাকালীন আচমকাই ওয়েস্টিনের মতো একটি নামী হোটেলে দশ মিনিটের জন্য পাওয়ার কাট হয়ে যায়। অন্ধকারে যথেষ্ট ভয় পান দেবচন্দ্রিমা। সেই সময় প্যাক আপ হয়ে গিয়েছিল। শুটিং ইউনিটের সদস্যরাও বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন। দেবচন্দ্রিমা নিজের রুমে মেকআপ তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। পাওয়ার কাট হয়ে যাওয়ার ফলে রুম থেকে বেরিয়ে দেবচন্দ্রিমা বাইরে কি সমস্যা হয়েছে তা দেখতে গিয়েছিলেন। আচমকাই দরজাটি বন্ধ হয়ে যায়। দেবচন্দ্রিমা তখন রুমের বাইরে রয়েছেন। রুমের চাবি রুমের ভেতরেই রয়ে গিয়েছিল।
রুমটি ছিল উপরের ফ্লোরে। ওই লবির সব ঘরগুলি ‘সাহেবের চিঠি’-র শুটিংয়ের জন্য নেওয়া হয়েছিল। টিমের সদস্যরা হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে রুমগুলি ফাঁকা পড়েছিল। ওই ফ্লোরে আর কেউ ছিলেন না। দেবচন্দ্রিমা এমতাবস্থায় ভয় পেয়ে উপরের ফ্লোর থেকেই চিৎকার করতে শুরু করেন। কারণ পাওয়ার কাট হওয়ার ফলে চলছিল না লিফট। ফলে দেবচন্দ্রিমা নিচে নামতে পারছিলেন না। পাশাপাশি অতগুলি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার ক্ষমতা তাঁর ছিল না। উপরের ফ্লোরে শুধুমাত্র দেবচন্দ্রিমা একা ছিলেন।
হোটেলের কর্মচারীরা তাঁকে একটু ধৈর্য্য ধরতে বলেন। তাঁরা জানান, দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু দেবচন্দ্রিমা অপেক্ষা করতে নারাজ ছিলেন। কারণ তিনি যথেষ্ট ভয় পেয়েছিলেন। দেবচন্দ্রিমা একটু আলো দেওয়ার অথবা কাউকে তাঁর কাছে পাঠানোর অনুরোধ করেন। হোটেলের কর্মচারীরাও অত সিঁড়ি ভেঙে দেবচন্দ্রিমার কাছে পৌঁছাতে পারছিলেন না। তবে সব সমস্যার সমাধান করে অবশেষে ইলেকট্রিসিটি আবারও চালু হয়েছিল। লাইট ফিরে আসায় স্বস্তি পেয়েছিলেন দেবচন্দ্রিমাও। তবে এরপর থেকে তিনি হোটেলে একা থাকতে পছন্দ করেন না।
View this post on Instagram