করোনা অতিমারীর পর বাংলা চলচ্চিত্রে কার্যতঃ খরা দেখা দিয়েছিল। উপরন্তু অধিকাংশ দর্শক করোনার ভয়ে প্রেক্ষাগৃহে যেতে চাইছিলেন না। কিন্তু গত বছর পুজোর সময় মুক্তি পেয়েছিল দেব (Dev) অভিনীত পিরিয়ড পিস ‘গোলন্দাজ’। এই ফিল্মে নগেন্দ্রনাথ সর্বাধিকারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দেব। ‘গোলন্দাজ’ দর্শককে ক্রমশ হলমুখী করতে শুরু করে। এরপর মুক্তি পায় ‘টনিক’। এই ফিল্মের মূল আকর্ষণ ছিলেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Paran Banerjee)। আশি বছর বয়সেও পরাণের রিভার রাফটিং রীতিমত চমকে দিয়েছিল দর্শকদের। ‘টনিক’-এর প্রত্যেকটি শো হাউসফুল ছিল।
পরবর্তীকালে বাড়াতে হয়েছিল শোয়ের সংখ্যা। পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও রেকর্ড তৈরি করেছে ‘টনিক’। এই ফিল্মে দেবও অনবদ্য। বহুদিন পর শকুন্তলা বড়ুয়া (Shakuntala Barua)-কেও বড় পর্দায় অভিনয় করতে দেখা গেল ‘টনিক’-এর মাধ্যমে। ‘টনিক’ কাটিয়ে দিয়েছে বাংলা ফিল্মের খরা। এরপরেই মুক্তি পেয়েছে ‘কিশমিশ’। বাংলার দর্শক বহুদিন পর আবারও দেবের হাত ধরেই হয়েছেন হলমুখী। ভালোবাসতে শুরু করেছেন বাংলা ফিল্মকে। দেবের কর্মকান্ডকে সম্মান জানাতে চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে ‘বঙ্গভূষণ’ পুরস্কারে সম্মানিত করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
View this post on Instagram
আগামীকাল, 25 শে জুলাই, নজরুল মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেবের হাতে ‘বঙ্গভূষণ’ পুরস্কার তুলে দেবেন মমতা। তাঁর দফতর থেকে এই মর্মে চিঠিও পাঠানো হয়েছে দেবকে। সতের বছর আগে প্রবীর নন্দী (Prabir Nandi) পরিচালিত ফিল্ম ‘অগ্নিশপথ’-এর মাধ্যমে টলিউডে ডেবিউ হয়েছিল দেব-এর।
কিন্তু রবি কিনাগী (Rabi Kinagi) পরিচালিত ফিল্ম ‘আই লাভ ইউ’-এর মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছিলেন দেব। বর্তমানে একজন সফল অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি দেব বাংলা ফিল্মের সফল প্রযোজক। একই সাথে নির্বাচনে জিতে ঘাটালের সাংসদ হয়েছেন দেব।
View this post on Instagram