সাধারণত ইন্ডাস্ট্রিতে ঠান্ডা মাথায় মানুষ হিসেবেই জানা যায় যে দেবকে। যতটা সম্ভব তিনি নিজেকে শান্ত রেখে সমস্যার সমাধান করেন। রিলিজের প্রথম প্রথম যখন টনিক হল পাচ্ছিল না তখন তিনে হল মালিকের সঙ্গে বচসায় না গিয়ে দর্শকদের উপর আস্থা রাখেন। তাঁর ফলও মেলে। কোভিডকালের পর বাংলা সিনেমার ধারাকে নতুন পথ দেখায় টনিক। এখনও বাংলার বেশ কিছু সিঙ্গেল স্ক্রিন এবং মাল্টিপ্লেক্সে এখনও চলছে টনিক। টনিক এর এই সাফল্য দেখে এই অভিনেতা প্রযোজক এবং পরিচালক ত্রয়ী ঘোষণা করেছেন ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে টনিকের সিক্যুয়েল প্রজাপতি।
একদিন হঠাৎ নিজের প্রযোজনা সংস্থার অফিসে হানা দেন দেব। সেখানকার চিত্র দেখে তিনি প্রায় থমকে যান। অফিসের সকল কর্মচারী তন্দ্রায় মগ্ন। আগামী ২৯ শে এপ্রিল মুক্তি পাবে তার পরবর্তী ছবি কিশমিশ কিন্তু এখনও কেন সেই ছবির ট্রেলার মুক্তি পায়নি তা জানতে চান দেব। তাঁর কর্মচারীদের থেকে আসা উত্তরে দেবের মেজাজ সপ্তমে চড়ে যায়। কর্মচারীরা জানান ট্রেলার এখনও তৈরি হয়নি।
কিশমিশের শ্যুটিং শেষ। দেব এবং রুক্মিণী ব্যস্ত অবসর যাপনে। মালদ্বীপে বেশ কিছুদিন আগে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেব এবং তাঁর প্রেমিকা অভিনেত্রী রুক্মিণী। খোশমেজাজে ছিলেন দেব। সেখান থেকে ফিরে এই বিপত্তি ঘটে। নিজের পরবর্তী ছবি কিশমিশের পরিচালকেরই উপর বিচ্ছিরিভাবে মেজাজ হারিয়ে বসেন দেব।
পরিচালক রাহুল মুখার্জিও দেবের কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু দেব অভিযোগ তোলেন তাঁর হাতে এখন অন্য ছবি চলে আসায় তিনি কিশমিশকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
দেখেছিলেন মালদ্বীপ থেকে ঘুরে এসে যেন তার সিনেমার ট্রেলার তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু নিজের প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে এখনও ট্রেলার হাতে না পেয়ে পরিচালক এর উপর ক্ষেপে আগুন হয়ে যান তিনি। দেবের সমস্ত রাত এসে উগরে পড়ে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের উপর। প্রসঙ্গত এটি রাহুলের ডেবিউ কাজ। আর এই ডেবিউ কাজকে তিনি অন্য কাজের জন্য গুরুত্ব দিচ্ছেন না এতেই দেব ঘোরতর আপত্তি জানান।
View this post on Instagram
কিন্তু তার পরের মুহূর্তে যা ঘটলো তা কেউ প্রত্যাশা করেন। হঠাৎই টিনটিন রূপে পর্দায় এসে হাজির হন দেব। টিনটিনই ঘোষনা করে যে ২১ শে মার্চ রাত আটটায় প্রকাশ্যে আসতে চলেছে কিশমিশের ট্রেলার। অভিনেতার এরকম কান্ড দেখে তো হতবাক সোশ্যাল মিডিয়ার সবাই। যদিও নিজের সিনেমা প্রচারের ক্ষেত্রে এমন কৌশল এর আগেও একবার নিয়েছিলেন হইচই আনলিমিটেডের সময়।