whatsapp channel

দরিদ্র প্রতিযোগীর সমুদ্র দেখার স্বপ্ন পূরণ করলেন দেব, দাঁড়ালেন মধুমিতার পরিবারের পাশে

'নতুন আলো নতুন আশা, ডান্সের নতুন ভাষা' এই ট্যাগলাইন দিয়ে স্টার জলসাতে শুরু হয় "ড্যান্স ড্যান্স জুনিয়ার" সিজন ২। মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর বিশ্বাস করেন একটা ডান্স পাল্টে দিতে পারে একটা…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Advertisements
Advertisements

‘নতুন আলো নতুন আশা, ডান্সের নতুন ভাষা’ এই ট্যাগলাইন দিয়ে স্টার জলসাতে শুরু হয় “ড্যান্স ড্যান্স জুনিয়ার” সিজন ২। মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর বিশ্বাস করেন একটা ডান্স পাল্টে দিতে পারে একটা গোটা জীবন। অন্যদিকে দেবের দাবি, একই লক্ষ্য নিয়ে একসঙ্গে এই ডান্স শো দেখতেই হবে প্রথম বার ‘গুরু দেব’ একসাথে এই রিয়ালিটি শো এর বিচারক হয়েছেন। অন্যদিকে ছোট পর্দার মনামী ও রয়েছেন বিচারক পদে। এই রিয়ালিটি শোতে দেখানো হবে খাঁটি ট্যালেন্টকে। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে এই রিয়ালিটি শো।

Advertisements

এই সিজনে অংশগ্রহণ করেছে মধুমিতা। এই মেয়ে নিজের নাচ দিয়ে সকল বিচারকের মন আগেই জয় করে নিয়েছে। মধুমিতার এই নাচের সফরে আছে এক বড় স্ট্রাগেল। এই ডান্সারের বাবার ক্যানসারে ভুগছেন অন্যদিকে মধুমিতার একমাত্র ভাইয়ের দৃষ্টিশক্তিও ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। পারিবারিক অবস্থা একেবারে সচ্ছ্বল অবস্থা নেও তবু মধুমিতা বড় ডান্স্যার হবে এই স্বপ্ন নিয়ে অংশগ্রহণ করে মধুমিতা। পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ কোনোদিন বাইরে ঘুরতে যেতে পারেনি। মধুমিতা ও তার পরিবার স্বপ্ন দেখে, একদিন ঠিক বেড়াতে যাবে সমুদ্রে। আর এই কথাই জানায় নাচের এই মঞ্চে।

Advertisements

কী করে পূরণ হবে তাঁদের সেই স্বপ্ন? এদিকে মধুমিতাদের আর্থিক অবস্থা মোটেই ভাল নয়। একদিন দেব মধুমিতাকে প্রশ্ন করে মধুমিতার স্বপ্ন কি? এরপর এই বাচ্চা মেয়ে নিজের সমুদ্র যাওয়ার কথাটা জানান বিচারক দেবের কাছে। স্টার জলসার টিম ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র ২’ এর সকল কর্মচারী আর দেব একজোট হতেই এই বাভচার স্বপ্ন পূরণের সাথী হলেন। প্রতিযোগী মধুমিতা একদিন সমুদ্রের ধারে মা,বাবা,ভাইকে নিয়ে পৌঁছে গেল।

Advertisements

সমুদ্রকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে মধুমিতাকে আর ধরে রাখতে পারে কে। স্বপ্ন যে সত্যি হবে কোনও দিন, বোধ হয় ভাবেননি মধুমিতা। তাই সমুদ্রের ধারে গিয়ে খুশিতে আত্মহারা। এই বাচ্চা মেয়ের পাশাপাশি পরিবারের আরো ৩ জন ও বেশ খুশি কারণ তারাও যে কোনোদিন সমুদ্র দেখেননি। জলের ধারে পৌঁছেই বালির পাড়ে খুশিতে নেচে ওঠে মধুমিতা। ঠিক যেমন রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে মধুমিতা নেচে ওঠে। মধুমিতার নাচ দেখার জন্য মুখিয়ে থাকে বাঙালি দর্শক। আর মধুমিতার এই স্বপ্ন পূরণ হতে দেখে খুশি তাঁর ফ্যানেরা। একটি রিয়ালিটি শোয়ের তরফ থেকে এই মানবিকতা দেখে অনেকের চোখে জল আসতে বাধ্য হয়েছে। মধুমিতার এই সমুদ্র সফর সারা জীবন মনের মধ্যে গেঁথে থাকবে। দেবের এই মানবিকতা অনেকের মনে থাকবে।

Advertisements
whatsapp logo
Advertisements
Avatar