Bengali SerialHoop Plus

Dhulokona: পরকীয়া দেখিয়ে টিআরপি চার্টে প্রথম! ‘ধুলোকণা’ নিয়ে ক্ষুব্ধ দর্শকরা

লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)-র লেখা চিত্রনাট্য মানেই তা সম্মুখীন হবে বিতর্কের, এটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। লীনা লেখেন এক, পরিণত হয় অন্য কিছুতে। তবে স্টার জলসায় সম্প্রচারিত ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’ নিয়ে প্রথম থেকেই দর্শকদের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। ফলে টিআরপিও যথেষ্ট ভালো ছিল। কিন্তু বর্তমানে টিআরপি ভালো হলেও ‘ধুলোকণা’-র কণামাত্রও পছন্দ হচ্ছে না দর্শকদের। কারণ গল্পের গরু গাছে উঠে গিয়েছে।

‘ধুলোকণা’ শুরু হওয়ার সময় লীনা বলেছিলেন, তিনি সমাজের অবহেলিত শ্রেণীর কাহিনী তুলে ধরতে চলেছেন এই সিরিয়ালে। অবহেলিত শ্রেণীর প্রতিনিধি হিসাবে দৃশ্যমান নায়ক-নায়িকা লালন ও ফুলঝুরি বর্তমানে রীতিমত সম্ভ্রান্ত। গল্প যত এগিয়েছে, ততই তাদের পরিচয় উদঘাটিত হয়েছে। কিন্তু একই ধারাবাহিকে পরপর তিনবার বিয়ে হয়েছে লালনের। কখনও বা হারিয়ে যাচ্ছে তার স্মৃতি। কখনও বা লালন, তিতিরের সিঁথিতে লিপস্টিক লাগিয়ে সিঁদুরদান করছে। স্মৃতি ফিরে এলেও তিতিরের প্রতি লালনের টান দেখে ফুলঝুরি তাকে তিতিরের বাড়ি গিয়ে থাকতে বলছে। পাশাপাশি বন্ধন থেকে মুক্তি চাইছে ফুলঝুরি। লালনের দাবি, সে তিতির ও ফুলঝুরি দুজনকেই ভালোবাসে। সব মিলিয়ে সিরিয়াল ঘেঁটে ঘ।

অতএব ‘ধুলোকণা’ ইতিমধ্যেই দর্শকদের কাছ থেকে ফালতু সিরিয়ালের আখ্যা পেয়ে গিয়েছে। লালনকে চরিত্রহীন বলছেন নেটিজেনদের একাংশ। পাশাপাশি লীনার রুচিকেও বিকৃত বলা হচ্ছে। এর মধ্যেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, এত বাজে চিত্রনাট্য সত্ত্বেও কিভাবে বেঙ্গল টপার হচ্ছে ‘ধুলোকণা’।

বুদ্ধিজীবীদের বক্তব্য অনুযায়ী, “সত্যিই মাঝে মাঝে বাংলা সিরিয়াল দেখলে মনে হয়, পৃথিবীতে পরকীয়া ছাড়া আর কিছুই নেই। অথবা প্লাস্টিক সার্জারি এবং চড়া মেকআপ করে সন্তানের জন্ম দেওয়া। এরপর আর নেটিজেনরা নয়, বাংলা সিরিয়াল এলিয়েনরাই দেখবেন।”

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Star Jalsha (@starjalsha)

whatsapp logo