Lily Chakraborty: দত্ত পরিবার থেকে উধাও ঠাম্মি, ‘নিম ফুলের মধু’ ছেড়ে দিলেন লিলি চক্রবর্তী!

Nirajana Nag

Nirajana Nag

বাংলার আপামর সিরিয়াল প্রেমীদের যদি একটি প্রশ্ন করা হয়, এই মুহূর্তে সবথেকে জনপ্রিয় ধারাবাহিক কী? এক কথায় অধিকাংশ মানুষই নাম নেবেন ‘নিম ফুলের মধু’র (Neem Phuler Modhu)। বিগত দু সপ্তাহ ধরে একই রকম ভাবে প্রথম স্থানে স্থির হয়ে রয়েছে এই ধারাবাহিকটি। ঘন ঘন চমকপ্রদ টুইস্ট দিয়ে দর্শকদের আগ্রহ ধরে রেখেছে সিরিয়ালটি। কিন্তু ইদানিং এই সিরিয়ালের দর্শকরা একটু বিষন্ন রয়েছেন। বেশ কিছুদিন হয়ে গেল বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তীকে (Lily Chakraborty) দেখা যায় না এই সিরিয়ালে। পরপর নতুন টুইস্ট আসলেও দত্ত পরিবারের সর্বেসর্বা ঠাম্মির দেখা নেই। তিনি কি ছেড়ে দিলেন সিরিয়াল নাকি তাঁর অনুপস্থিতির জন্য রয়েছে অন্য কারণ?

কমবেশি প্রতিটি সিরিয়ালেই পরিবারের একজন বয়ষ্ক সদস্য হিসেবে প্রবীণ অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের কাস্ট করা হয়। নিম ফুলের মধুর ক্ষেত্রে এই চরিত্রে দেখা যায় বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তীকে। ঠাম্মির চরিত্রে দর্শকদের বড্ড প্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। যেখানে পর্ণার প্রতিটি লড়াইয়ে তিনি পাশে দাঁড়ান, পরিবারের বিপদে ঢাল হয়ে দাঁড়ান, সেখানে বিগত বেশ অনেকদিন ধরেই তাঁকে নিম ফুলের মধু তে মিস করছেন দর্শক।

সত্যিই কি সিরিয়াল ছেড়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী? না, এমন কোনো খবরই পাওয়া যায় নি। আসলে শোনা যাচ্ছে, বর্তমানে নাকি অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী একটু অসুস্থ। ঋতু পরিবর্তনের কারণেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সেই কারণেই সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। বর্তমানে আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থ হলেও সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পরেই তিনি ধারাবাহিকের শুটিংয়ে যোগ দেবেন বলে জানা যাচ্ছে।

এই মুহূর্তে নিম ফুলের মধু তে বেশ টানটান পর্ব চলছে। দর্শকরা জানেন, পর্ণা মা হতে চলেছে। এদিকে তার শাশুড়ি কৃষ্ণা এবং স্বামী সৃজন ধরেই নিয়েছে যে পুত্রসন্তান হবে। যদি কন্যা হয় তাহলে যে ঝড় উঠবে তা কীভাবে সামাল দেবে সেই চিন্তায় রয়েছে পর্ণা। এদিকে আবার হঠাৎ করে বর্ষার বিয়ে ঠিক করে বসে কৃষ্ণা। কিন্তু বর্ষা যে পিকলুকে ভালোবাসে সেটা প্রকাশ্যে আসতেই পর্ণা চ্যালেঞ্জ নেয়, বর্ষা আর পিকলুর বিয়ে সে দিয়েই ছাড়বে। দর্শকরা পরপর এমন টুইস্ট বেশ উপভোগ করছেন।

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই