Rachna Banerjee: ফের নতুন বিতর্কে ‘দিদি নং ১’!
বাংলা টেলিভিশন জগতের এক উজ্জ্বল মুখ হলেন রুকমা রায় (Rooqma Ray)। আসল নামে তিনি বেশি পরিচিত না হলেও দর্শককূল তাকে ‘কিরণমালা’ কিংবা ‘লালকুঠি’র অনামিকা নামে বেশ চেনে। আজ্ঞে হ্যাঁ, তিনিই সেই অভিনেত্রী যাকে ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র ‘মাম্পি’ হিসেবেও দেখা গিয়েছিল ছোট পর্দায়। অভিনয় দিয়ে তিনি দর্শকদের মন জয় করে চলেছেন নিরন্তর। তাকে নিয়ে চর্চাও হয় বিস্তর। কিন্তু সম্প্রতি তিনি শিরোনামে অন্য এক কারণে। আলোচনা নয়, বরং সমালোচনার মুখে পড়তে হল অভিনেত্রীকে। বাঙালির ইমোশন নিয়ে কথা বলায় নেটিজেনরা ধুয়ে দিলেন প্রিয় অভিনেত্রীকেও। কি এমন করেছেন রুকমা? দেখে নিন বিস্তারিত।
জি-বাংলার একটি সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো হল ‘দিদি নং-১'(Didi No-1)। এই শোয়ের মঞ্চে সাধারণ মানুষ থেকে তারকাদেরও আগমন ঘটে। সম্প্রতি এই শোয়ের মঞ্চে দেখা যায় টিভি পর্দায় অনামিকাকে। নিজের আসন্ন ওয়েবসিরিজ ‘রক্তকরবী’-র প্রমোশন করার খাতিরে এই শোয়ের মঞ্চে হাজির হন তিনি। আর এখানেই তার একটি বিতর্কিত কথার প্রেক্ষিতে তাকে ঘিরে তৈরি হল সমালোচনার বাতাবরণ।
সম্প্রতি ছুটি কাটাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। হাতে কাজ না থাকলে যায় হয়। আর শোয়ের মঞ্চে সঞ্চালিকা তার সাম্প্রতিক ট্যুরের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি বলেন, “এই তো বাবা-মা’কে নিয়ে সম্প্রতি পুরুলিয়া ঘুরে এলাম। তারপর আমি, শ্রীতমা আমরা সবাই থাইল্য়ান্ড গিয়েছিলাম ঘুরতে। ওখানে শপিং করলাম, প্রচুর ঘুরলাম, ছবি তুললাম।” তারপরেই সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) বলে ফেলেন, “সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে, বাবা-মা’কে নিয়ে যাচ্ছে পুরুলিয়া আর নিজে যাচ্ছে থাইল্যান্ড।” এই বিষয়টি নিয়ে মঞ্চের মধ্যেই হাসাহাসি হয় বিস্তর।
এখানেই প্রবল ক্ষেপে ওঠেন নেটিজেনরা। দেশের মাটিকে অপমানজনক কথা বলছেন এরকম তারকারা, এই বিষয়টি যেন মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই কমেন্ট বক্স ভরে উঠেছে নানা তির্যক মন্তব্যে। কেউ লিখেছেন, “কেন পুরুলিয়ার মধ্যে খারাপ কী আছে? একবার এসে দেখে যান পুরুলিয়া। দেখুন এখানকার মানুষ কত সহজ-সরল। তারপর পুরুলিয়া নিয়ে মন্তব্য করবেন।”; অন্যজন আবার লিখেছেন, “পুরুলিয়া কি থাইল্যান্ডের চেয়ে খারাপ? তির্যক হাসি কেন? নিজের দেশকে ভালবাসতে জানেন না। আপনারা ধান্দাবাজ। রূপ আর কথা বিকিয়ে খান। প্রকৃত শিক্ষা কম। নিজেদের সবজান্তা মনে করেন।”; আরেকজনের কথায়, “তির্যক হাসিটা সত্যি কানে বাজলো, খুব খারাপ লাগলো”।