Vastu Tips: কর্পূর দিয়ে করুন এই সহজ প্রতিকার, সংসারে সর্বদা থাকবে আর্থিক স্বচ্ছলতা
অনেকের বাড়িতেই পুজোর প্রয়োজনীয় সামগ্রী হিসেবে রাখা হয় কর্পূর (Camphor)। পবিত্র হিসেবে মানা হয় এই সুগন্ধি দাহ্য পদার্থকে। এছাড়াও আরো অনেক ব্যবহার এবং উপকারিতা রয়েছে কর্পূরের। জীবনে আসা বহু বাধা বিপত্তি, সমস্যা থেকে প্রতিকার দিতে পারে কর্পূর। সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে খুবই ফলদায়ী হয়ে উঠতে পারে এই আপাত সাধারণ জিনিসটি। হিন্দু ধর্মে কর্পূরকে অত্যন্ত শুভ মানা হয়। বলা হয়, কর্পূর গৃহস্থ বাড়িতে ইতিবাচক শক্তিকে নিয়ে আসে। তবে কর্পূর জ্বালানোর সঠিক নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে বাস্তু শাস্ত্রে। কর্পূরের ব্যবহার কীভাবে করতে হবে তা বিস্তারিত ভাবে বলা রয়েছে বাস্তু শাস্ত্রে (Vastu)।
জ্যোতিষ শাস্ত্রে মানা হয়, পুজোর পরে কর্পূর দিয়ে আরতি করলে ভগবান প্রসন্ন হন। বলা হয়, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় পকেটে যদি কর্পূর নিয়ে বেরোনো যায় তবে মন শান্ত থাকে, ইতিবাচক শক্তিতে পরিপূর্ণ থাকে। আরো বলা হয়, পকেটে কর্পূর থাকলে বাড়ে মুখের উজ্জ্বলতা, সুখ শান্তিতে ভরে ওঠে দাম্পত্য জীবন। এছাড়াও পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত হয় এবং আর্থিক ভাগ্যও সুপ্রসন্ন হয় বলে মানা হয়।
জ্যোতিষ মতে, গোলাপ এবং কর্পূর দিয়ে একটি প্রতিকার করলে আর্থিক ভাগ্য উন্নত হয়। এর জন্য প্রথমে একটি লাল গোলাপ নিতে হবে, তার উপরে রাখতে হবে কর্পূর। সন্ধ্যায় পুজো করে সেই কর্পূর সহ গোলাপ রাখতে হবে মা দুর্গার চরণে। এতে আর্থিক উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আটকে থাকা টাকাও উদ্ধার হয়। এর জন্য ৪৩ দিন ধরে করতে হবে এই প্রতিকার। জ্যোতিষে আরো বলা হয়, সকাল সন্ধ্যা এবং রাতে ঘি দিয়ে ঘরে কর্পূর জ্বালালে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কর্পূরের উপরে দুটি লবঙ্গ রেখে প্রতিদিন পোড়াতে হবে এটি বাড়িতে। এতে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়।
কর্পূরকে শান্তির প্রতীক মানা হয়। পুজোর স্থানে কিংবা বাড়িতে কর্পূর জ্বালানো হলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়। বাড়িতে সর্বদা শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।