Hoop PlusTollywood

Dipankar Dey: মধ্যরাতে আচমকাই গুরুতর অসুস্থতা, আইসিইউতে ভর্তি হয়ে কেমন আছেন দীপঙ্কর দে?

শুক্রবার রাতে প্রবল দুশ্চিন্তার পর শনিবার সকালে বড়সড় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন অভিনেত্রী দোলন রায় (Dilon Roy)। বিপদমুক্ত প্রবীণ অভিনেতা দীপঙ্কর দে (Dipankar Dey)। শুক্রবার রাতে আচমকাই সুগার ফল করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মধ্যরাতে একা হাতে স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন দোলন। আইসিইউতে ছিলেন দীপঙ্কর। রাতটা দুশ্চিন্তায় কাঁটা হয়ে থাকার পর শনিবার এল ভালো খবর। সুস্থ রয়েছেন দীপঙ্কর। শীঘ্রই ছাড়াও পেয়ে যাবেন হাসপাতাল থেকে।

ঠিক কী হয়েছিল বর্ষীয়ান অভিনেতার? শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎ করেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন দীপঙ্কর দে। সুগার ফল করেছিল তাঁর। দরদরিয়ে ঘামতে শুরু করেছিলেন। পরিস্থিতি দেখে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন দোলন। দক্ষিণ কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে স্বামীকে নিয়ে যান তিনি। রাতেই সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় অভিনেতার। তৎক্ষণাৎ আইসিইউতে ভর্তি করে নেওয়া হয় তাঁকে। এমন বিপদের সময়ে দুশ্চিন্তা, ভাবনায় কেঁদে ফেলেছিলেন দোলন। তবে চিকিৎসকদের উপরে ভরসা ছিল তাঁর।

রাতটা হাসপাতালেই কেটেছে দোলনের। ভোররাতে বাড়ি ফেরার পর সকাল হতেই ফের ছুটেছেন তিনি হাসপাতালে। তবে দীপঙ্কর দে এখন অনেকটাই সুস্থ বলে জানান অভিনেত্রী। কথা বলছেন অভিনেতা। দোলন নিজেও বসে রয়েছেন চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। সৌভাগ্যবশত, কেটে গিয়েছে ফাঁড়া। দোলন জানান, চিকিৎসকরা আগে বলেছিলেন যে হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ ব্লাড সুগারের মাত্রা কমে গিয়েছিল শরীরে। তবে চিন্তার কিছু নেই। রবিবারই সম্ভবত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যাবেন দীপঙ্কর দে।

প্রসঙ্গত, টলিপাড়ায় প্রেমের নিদর্শন হিসেবে মানা হয় দীপঙ্কর দে এবং দোলন রায়ের জুটিকে। বয়সের বিস্তর ফারাক থাকা সত্ত্বেও একে অপরকে ভালোবেসে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন তাঁরা, তাও আবার এমন একটা সময়ে যখন লিভ ইন শব্দটা তেমন প্রচলিতই ছিল না। বছর তিনেক আগে সম্পর্কের একটা নাম দিয়েছেন তাঁরা। ঘরোয়া অনুষ্ঠান করে বিয়ে সেরেছেন দীপঙ্কর এবং দোলন। বর্তমানে চতুর্দিকে ঘর ভাঙার খবরের মাঝে এখনো একে অপরের সঙ্গী হয়ে প্রেম বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁরা।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই