Dove Bird Vastu: ঘুঘু পাখি বাড়িতে এলেই তাড়িয়ে দেন? অজান্তেই বিপর্যয় ডেকে আনছেন না তো!
আমাদের এই মহাবিশ্ব হল বৈচিত্রে পরিপূর্ণ। কোটি কোটি প্রজাতির প্রাণ রয়েছে এই জীব জগতে। আর সকলের থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি স্বাধীন হল পাখিরা। তাই পাখিদের প্রতি মানুষের আগ্রহ সবকালেই বেশি। আমাদের চারপাশে যেসব পাখি ঘোরাফেরা করেজ তাদের মধ্যে ঘুঘু পাখি হল অন্যতম। এই বিশেষ পাখি আর্দ্র পাতাঝরা বন, বাগান, কুঞ্জবন, আবাদি জমিতে ঘোরাফেরা করে। গ্রাম হোক বা শহর সব জায়গাতেই এই পাখি দেখা যায়। এরা সচরাচর জোড়ায় বা ছোট দলে থাকে। এই পাখি তৃণভূমি, খামার, চাষের জমিতে খাবার খায়।
তবে এই ধরণের পাখি বেশিরভাগ আমাদের আশেপাশেই থাকে। সাধারণত, আমাদের বাড়ির ভেন্টিলেটর বা বাড়ির কোনো খুপরি বা গর্তে বাসা বাঁধে। গ্রামগঞ্জ হোক বা শহর-মফঃস্বল- সব জায়গাতেই পুরানো বাড়ির চিলেকোঠা বা কার্নিশে এদের দেখা যায়। তবে অনেকেই আছেন যারা এই পাখিকে পছন্দ করেনা। সেই কারণে বাড়িতে এদের বাসা দেখলেই ভেঙে ফেলে তারা। তাদের যুক্তি, ঘুঘু পাখি ভীষণভাবে ঘর নোংরা করে। এমনকি অনেকে এই পাখির বাসা বাঁধাকে অশুভ বলেও মনে করেন। তবে এটি কিন্তু মোটেই ঠিক নয়। তার কারণ জেনে নিন।
বাস্তুশাস্ত্র হল আমাদের দেশের প্রাচীনতম শাস্ত্রগুলির মধ্যে অন্যতম। এই বাস্তুশাস্ত্রে আমাদের রোজকার জীবনের নানা বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন শুভ ও অশুভ বিষয়কে নিয়ে বিধানও দেওয়া হয়েছে এই প্রাচীন শাস্ত্রে। বাস্তবিদদের মতানুসারে, ঘুঘু পাখির বাড়িতে আনাগোনা বা বাড়ির চিলেকোঠায় বাসা তৈরি করা খুবই শুভ। এই পাখি মা লক্ষ্মীর বাহক। সেই কারণে এই ঘুঘু পাখি বাড়িতে থাকলে বাড়ির সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
উল্লেখ্য, বাড়িতে যেকোনো ধরণের পাখি এলেই তাদেরকে জল ও খাবার দেওয়া অনেকেরই অভ্যাস। বাস্তুশাস্ত্রে এই বিষয়টিকে শুভ বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে, ঘুঘু ও চড়ুই পাখি বাড়িতে বাসা বাঁধলে বা বাড়ির উঠোন আনাগোনা করলে তাদের তাড়িয়ে না দেওয়ার কথা বলে থাকেন বাস্তুবিদরা। কারণ এইসব পাখিদের তাড়িয়ে দিলে মা লক্ষ্মী রুষ্ঠ হতে পারেন। ফলে বাড়িতে ঘোর বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। কোনরূপ কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের অভিপ্রায় নয়।